কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার দিলালপুর নদী ঘাটটি শতাধিক বছর আগে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান হিসেবে সুপরিচিত ছিল। কালের বির্বতনে নদীটি আস্তে আস্তে সরু হয়ে পড়ার কারণে দিলালপুর সহ মাইজচর ইউনিয়নের মাইজচর, বাহেরবালী, আয়নারগোপ ও নোয়াহাটা গ্রামের প্রায় ১০ হাজার জনগণের একমাত্র ভরসা খেয়া নৌকা দিয়ে পাড় হয়ে নিজ নিজ বাড়িতে চলে যাওয়া। কিন্তু দিলালপুর খেয়া নৌকা দিয়ে পারাপাড় হতে গেলে এসব গ্রামের লোকজনদেরকে কখনও আধা ঘন্টা, কখনও এক ঘন্টার মতো অপেক্ষা করতে হয়। সন্ধ্যার পর যেখানে ১০ টাকা ভাড়া সেখানে খেয়া পারাপাড়ের নৌকার মাঝিরা এসব লোকজনের কাছ থেকে ৩-৪ গুণ ভাড়া গুনে থাকে। এদিকে দিলালপুর ঘাট ছাড়াও নোয়াহাটা খেয়া পারাপাড়ের নৌকার অবস্থা একই রকম। আজ সোমবার বিকেলে বাহেরবালী গ্রামের জামাল উদ্দিন সহ কয়েকজন যাত্রী সংবাদকর্মীদের বলেন, খেয়াপারাপাড়ের জন্য তাদেরকে কখনও পনের মিনিট, কখনও ত্রিশ মিনিট আবার কখনও এক ঘন্টা সময় লেগে যায়। তারা বলেন, এ চারটি গ্রামের জন্য দিলালপুর ঘাটে একটি ব্রীজ ও নোয়াহাটা সহ তিনটি গ্রামের জন্য আরেকটি ব্রীজ হলে তাদের চলাচল একটু সহজ হবে বলে দাবী করেন। অন্যদিকে এসব গ্রামবাসীদের একমাত্র দাবী চারটি গ্রামের জন্য দুটি ব্রীজ অত্যন্ত প্রয়োজন বলে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।