কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলায় বিএনপির মধ্যে সংঘর্ষের জেরে দুটি মামলা হয়েছে। দুটি সংঘর্ষই ২২ সে নভেম্বর হয়েছে বলে সূত্রমতে জানা গেছে। একটি মামলার বাদী মোঃ আনোয়ার এবং দ্বিতীয় মামলার বাদী হয়েছেন মোঃ মাখন মিয়া। দুটি মামলার আসামী হয়েছেন ১২১ জন এবং অজ্ঞাত রয়েছেন ১৮৫ জন। মামলাগুলোতে উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক ও আওয়ামী লীগের সাবেক দুই উপজেলা চেয়ারম্যান সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের দেতা কর্মীবৃন্দ। গত ২২ নভেম্বর হিলচিয়া ইউনিয়নের সরিষাপুর সড়কে যুবদল নেতা মোঃ আনোয়ারের উপর হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মোঃ আনোয়ার গত ২৮ নভেম্বর বাজিতপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। এ মামলার উপজেলা বিএনপি সাধারন সম্পাদক মনিরুজ্জামন মনির, উপজেলা বিএনপির যুব বিষয়ক সম্পাদক শেখ রাফিদ রহমান উপজেলা যুদবলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ওয়াসিবুল হক সহ ৪৭ জন নামে সহ মামলা এবং অজ্ঞাত ১৫০ জনের কথা উল্লেখ করা হয়। এই মামলায় সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান রেজাউল হক কাজল কে ও আসামী করা হয়। পরের দিন ২৯ নভেম্বর উপজেলা বিএনপির নেতা মাখন মিয়া বাদী হয়ে দ্বিতীয় মামলাটি করেন। তিনি অভিযোগ করেন, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা তার উপরে হামলা চালায়। এ ঘটনায় তিনি জেলা যুবদলের সহ সভাপতি এ্যাডভোকেট শাহ্ আলম, সাবেক হালিমপুর ইউপি চেয়ারম্যান কাজল ভূইয়া, যুব দলের সদস্য সচিব আনিছুর রহমান খোকন, আওয়ামী লীগের সাবেক উপজেলার চেয়াম্যান রকিবুল হাসান শিবলীকে ও আসামী হিসেবে উল্লেখ করা হয় এ ছাড়া মামলাতে এনসিপি নেতা রনি আহম্মেদের নাম ও অন্তভোক্ত রয়েছেন। বাজিতপুর থানার অফিসার ইনচারর্জ মুরাদ হোসেন বলেন ২ টি মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে। এ ঘটনাতে কাওকে গ্রেফতার করা হয়নি। দুটি পক্ষের পাল্টা পাল্টি মামলার ঘটনায় জনমনে অস্বস্তিকর পরিবেশ বিরাজ করছে বলে জানা গেছে।