ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের(এলজিইডি)নির্মানাধীন একটি গ্রামীন সড়কে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের গাপলতির কারনে অন্তত ১২ গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ পড়েছেন চরম ভোগান্তিতে। নতুন রাস্থা নির্মানের জন্য ১ বছর আগে রাস্থা খুঁড়ে কাজ বন্ধ রাখার অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে। ঠিকাদারের এমন হেয়ালীপনায় চরম বিপাকে পড়েছেন কয়েক হাজার মানুষ ।
কালীগঞ্জ উপজেলার সিংগী বাজার থেকে মঙ্গলপৌতা বাজার পর্যন্ত নতুন রাস্থা নির্মানের জন্য পুরাতন রাস্থা খুঁড়ে রাখা হয়েছে। রাস্থা খুঁড়ে রাখার কারনে অনেক স্থানে গেল বর্ষা মৌসুমে গভির গর্তের সৃষ্টি হয়ে যানবাহন চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। প্রায় ১৬ মাস রাস্তাটি খুড়ে রাখা রাস্তার কারনে কয়েক কিলোমিটার ঘুরে ইউনিয়ন পরিষদ সেবা, ভুমি অফিস সেবা, স্কুল,কলেজ,মাদ্রাসা, ইউনিয়নের একমাত্র সরকারি ব্যাংক এবং এক মাত্র সরকারি স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রে আসছেন কয়েক হাজার মানুষ। রাস্থা খুড়ে রাখার কারনে গ্রাম গুলোতে জরুরি সেবার জন্য এ্যাম্বুলেন্সও প্রবেশ করতে পারছে না।
কালীগঞ্জ এলজিইডি অফিস বলছেন,, ঝিনাইদহ জেলা অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ৩ কোটি ৭৯ লাখ টাকার ২৯৯০ মিটার রাস্থাটির কাজ পায় মেসার্স মিজানুর রহমান নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ২০২৪ সালের আগষ্ট মাসে শুরু হয়ে ২০২৫ সালের জুন মাসে রাস্তার কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ সমাপ্ত করতে পারেনি। এভাবে প্রায় ১৬ মাস খুঁড়ে রাখা রাস্তায় আর কাজ করেনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এ ব্যাপারে মেগুরখির্দ্দা গ্রামের বাসিন্দা আরিফ হাসান বলেন, ১৬ মাস আগে রাস্তা খুড়ে ফেলে রাখা হয়েছে। খুড়ে রাখা রাস্থার কারনে আমাদের গ্রামে বড় কোন গাড়িও প্রবেশ করতে পারছে না। অথচ এখন পর্যন্ত কাজ হলো না, এটা কেমন কথা ? আমরা দ্রুত এর প্রতিকার চাই। উন্নয়নের আশ্বাসে শুরু হওয়া এই প্রকল্প বর্তমানে প্রতিনিয়ত জনদুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতিদিন ভোর থেকেই এই সড়ক দিয়ে শত শত মানুষের যাতায়াত শুরু হয়। স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থী,অফিসমুখী কর্মজীবী,কৃষিপণ্যবাহী ভ্যান ও ট্রাকসহ সব ধরনের যানবাহন চলাচলের একমাত্র ভরসা। রাস্তার মাঝখানে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা গর্ত আর খোঁড়াখুঁড়ির কারণে কোন যানবাহন চলাচল করতে পারে না।বিক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন,‘সরকার উন্নয়নের কথা বলে বাজেট দেয়,অথচ এখানে শুধু দুর্ভোগই আমাদের কপালে জুটছে। রাস্তা খুঁড়ে রেখে যে উধাও হয়েছে,তার কোনও জবাবদিহিতা না।
এ ব্যাপারে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স মিজানুর রহমান এর সত্বাধিকারী মোঃ রানা জানান, নতুন ইট উঠলে কাজ শুরু করবো। তাছাড়া আমি অসুস্থ থাকায় কাজটি করতে পারিনি। কালীগঞ্জ উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী সৈয়দ শাহরিয়ার আকাশ বলেন,একাধিকবার চিঠি পাঠিয়েছি কিন্তু কোন সুরাহা পাইনি।
এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা রেজওয়ানা নাহিদ বলেন,ঘটনাটি আমি আপনার কাছে থেকে প্রথম শুনলাম। এ ব্যাপারে খোজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবো।