কালীগঞ্জে পেয়াজ চাষে সফল কৃষকরা

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার ত্রিলোচনপুর ইউনিয়নের মাঠে এবার দেখা গেছে ব্যতিক্রমী সাফল্য গ্রীষ্ম কালীন পেয়াজ চাষে আশাতীত ফলন পেয়ে উচ্ছ্বসিত স্থানীয় কৃষকরা। প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী গ্রীষ্ম কালীন  মৌসুমে পেংাজ চাষ ঝুঁকিপূর্ণ ও শ্রমসাধ্য হলেও আধুনিক প্রযুক্তি সঠিক ব্যবস্থাপনা এবং কৃষি বিভাগের কারিগরি সহায়তায় কৃষকেরা এবার অর্জন করেছেন দৃষ্টান্তমূলক ফলন।

সোমবার বিকালে গ্রীষ্মকালীন পেয়াজের প্রদর্শনী মাঠ পরিদর্শনে আসেন ঝিনাইদহের কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কামরুজ্জামান, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহবুব আলম রনি এবং উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন অফিসার আখতারুজ্জামান মিয়া। তারা মাঠ পরিদর্শন শেষে কৃষকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন এবং প্রযুক্তি নির্ভর চাষাবাদ আরও সম্প্রসারনে প্রয়োজনীয় সহায়তার আশ্বাস দেন।

কালীগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহবুব আলম রনি বলেন, গ্রীষ্মকালীন পেয়াজ চাষে আমাদের কৃষকেরা এবার যে সাফল্য দেখিয়েছেন,তা ভবিষ্যতে পেয়াজ উৎপাদনের নতুন সম্ভাবনা তৈরি করবে। নিয়মিত সেচ,রোগবালাই দমন ও উচ্চমানের বীজ ব্যবহারের কারণেই এ ফলন সম্ভব হয়েছে।কৃষকদের মতে, গ্রীষ্মকালীন পেয়াজ চাষে লাভ বেশি এবং শ্রম মূল্য তুলনামূলক কম। পাশাপাশি বাজারে চাহিদা থাকায় ভালো দাম পাওয়ায় তাদের আগ্রহ বাড়ছে। ত্রিলোচনপুর ইউনিয়নের কৃষকদের এই সফলতা পুরো উপজেলার কৃষিতে নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলেছে।স্থানীয় কৃষক টিপু সুলতান বলেন, আগে ভাবতাম গরমে পেয়াজ হবে না। কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শ অনুযায়ী চাষ করলাম। এবার ফলন দেখে অত্যন্ত খুশি।