ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির সরকারি অনুমতি জারির ২৪ ঘণ্টা পার হতেই সাতক্ষীরার পাইকারি বাজারে কেজিপ্রতি ২০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত দর কমেছে। নতুন মৌসুমের দেশি পেঁয়াজ বাজারে ওঠা এবং আমদানির সিদ্ধান্ত-এই দুইয়ের প্রভাবেই দাম কমেছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এতে নিত্যপ্রয়োজনীয় এই পণ্যটি কিনতে স্বস্তি ফিরেছে ক্রেতাদের মধ্যে।
মঙ্গলবার সাতক্ষীরা শহরের সুলতানপুর বড়বাজারের আড়ত ঘুরে দেখা যায়, রোববার পর্যন্ত যে পুরোনো পেঁয়াজ কেজিপ্রতি ১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছিল, তা এখন ১০০ থেকে ১১০ টাকায় নেমে এসেছে। নতুন মেহেরপুর জাতের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা কেজি।
ব্যবসায়ীরা বলেন, পুরো বছর দেশি পেঁয়াজ দিয়েই দেশের চাহিদা মিটেছে। এতে কৃষকেরা ন্যায্যমূল্য পেয়েছেন, সাশ্রয় হয়েছে বৈদেশিক মুদ্রারও। তবে মৌসুমের শেষ দিকে কিছু ব্যবসায়ীর অতিরিক্ত মুনাফার চেষ্টা বাজারে অস্থিরতা তৈরি করেছিল। আমদানির অনুমতি দেওয়া মাত্রই সোমবার থেকে রাতারাতি দাম কমে গেছে।
ক্রেতারা অভিযোগ করেন, সরবরাহ কমের অজুহাতে হঠাৎ দাম বাড়িয়ে দেওয়া হয়, এতে বাজারে চাপ তৈরি হয়। তাঁদের মতে, দেশি পেঁয়াজের দাম ৫০-৬০ টাকা এবং আমদানিকৃত পেঁয়াজ ৩০-৪০ টাকার মধ্যে থাকলে স্বস্তি মিলবে।
পেঁয়াজ বিক্রেতা আনোয়ার হোসেন বলেন, কয়েক দিন ধরে দাম বাড়তি থাকায় তারা অল্প করে পণ্য কিনে বিক্রি করছিলেন। আমদানির খবর আসার সঙ্গে সঙ্গে বাজার নিম্নমুখী হয়েছে। “আমরা কম দামে কিনছি, কম দামে বিক্রিও করছি,”বলেন তিনি।
ভোমরা স্থলবন্দর সিএন্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আবু মুসা জানান, প্রতিদিন ৫০ জন আমদানিকারককে আইপি (ইমপোর্ট পারমিট) দেওয়া হচ্ছে, এবং একজন আমদানিকারক ৩০ টন করে পেঁয়াজ আনতে পারবেন। তাঁর দাবি, আমদানির জন্য আইপি আরও উন্মুক্ত করে দিলে বাজার দ্রুত স্বাভাবিক হবে।
ভোমরা কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, অনুমতি পাওয়ার পর রোববার বিকালে ভোমরা বন্দর দিয়ে প্রথম চালান হিসেবে ৩০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ দেশে প্রবেশ করেছিল।