দেশে নারী ও কন্যার প্রতি সহিংসতা বন্ধে ঐক্যবদ্ধ হই, ডিজিটাল নিরাপত্তা নিশ্চিত করি এই পতিপাদ্য কে সামনে রেখে গাইবান্ধায় বিভিন্ন কর্মসুচির মধ্যে দিয়ে বেগম রোকেয়া দিবস ও আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিপক্ষ পালন করা হয়েছে।
এই উপলক্ষে জেলা প্রশাসন ও মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের আয়োজনে মঙ্গলবার বেলা ১১ টার দিকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালী শহরের স্বাধীনতা প্রাঙ্গন থেকে বের হয়ে শহরের প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিন শেষে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে এসে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) একে এম হেদায়েতুল ইসলামে সভাপতিত্বে ও শিরিন আক্তারের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিদ্রোহ কুমার কুন্ড, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লাইলাতুল হোসেন । এছাড়াও মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক নার্গিস জাহান, ডাক্তার রেজোয়ান আহম্মেদ সহ বেসরকারি এনজিওর কর্মকতা ও কর্মচারীগন উপস্থিত ছিলেন।
শেষে বিভিন্ন ক্যাটাগরির জেলার ৫ জন শ্রেষ্ঠ অদম্য নারী জয়িতাকে সম্মননা স্মারক প্রদান করা হয়। তারা হলেন, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের অর্থনৈতিক সাফল্য অর্জনের জন্য মোছাঃ মমতাজ বেগম , একই উপজেলার আদমপুর গ্রামের সাবিনা সরেন শিক্ষা ও চাকরী ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনের জন্য, একই উপজেলার পাইকা গ্রামের সফল জননী নারীর জন্য মোছাঃ মজিদা বেগম, ফুলছড়ি উপজেলার কাতলামারী গ্রামের শ্রীমতি মনিকা রানী নির্যাতনের দুঃসপ্ন মুছে জীবন সংগ্রামে জয়ের জন্য এবং সব শেষ সাঘাটা উপজেলার আমদির পাড়া গ্রামের আঙ্গুলি বেগম সমাজে অসামান্য অবদান রাখার জন্য সার্টিফিকেট ও সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।
অপর দিকে বাংলাদেশ নারী মুক্তি কেন্দ্র ৯ ডিসেম্বর মহীয়সী নারী বেগম রোকেয়ার ১৪৫ তম জন্ম - ৯৩ তম মৃত্যু দিবস উপলক্ষে গাইবান্ধা জেলার উদ্যোগে বেলা ১ টায় স্বাধীনতা রজতজয়ন্তী স্কুলে ছাত্রীদের নিয়ে আলোচনা সভার আয়োজন করে । আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুলতান ফারুক, শিক্ষিকা শিরিনা বেগম সংগঠনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট নিলুফার ইয়াসমিন শিল্পী, সাংগঠনিক সম্পাদক রাহেলা সিদ্দিকা প্রমুখ। বক্তাগন বলেন বেগম রোকেয়া নারী জাগরণের অগ্রদূত ছিলেন। তিনি সমাজের শত প্রতিকুলতা মোকবেলা করে অধিকার বঞ্চিত নারীদের মুক্তির আকুতি ধারন করে সংগ্রাম করেছেন। নারীদের শিক্ষা -সংস্কৃতি, আত্মনিভরশীলতার রুচি বিনির্মানে নিরন্তর সংগ্রাম করে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। তাকে শুধু লালন করাই নয়,তা বাস্তবায়নের জন্য ঐক্যবদ্ধ সংগ্রাম করা আজ সময়ের দাবী। বক্তাগন সামাজিক অবক্ষয় রোধে অপসংস্কৃতি ুঅশ্লীলতা, নারী - শিশু নির্যাতন- ধর্ষণ -হত্যা, পর্নোগ্রাফি ও -সামপ্রদায়িকতার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তোলার আহবান জানান।