সরকার উৎখাতের অভিযোগে শওকত মাহমুদ পাঁচ দিনের রিমান্ডে

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশ: ১১ ডিসেম্বর, ২০২৫, ০৩:১৭ পিএম
সরকার উৎখাতের অভিযোগে শওকত মাহমুদ পাঁচ দিনের রিমান্ডে

রাজধানীর রমনা মডেল থানার সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি ও জনতা পার্টি বাংলাদেশের মহাসচিব শওকত মাহমুদকে পাঁচ দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ফাহমিদা খন্দকার আন্না বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। তদন্ত কর্মকর্তার রিমান্ড আবেদন ও উভয় পক্ষের যুক্তি শোনার পর আদালত তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন।

গত ৭ ডিসেম্বর মালিবাগের বাসার সামনে থেকে শওকত মাহমুদকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। যে মামলায় বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক এনায়েত করিম চৌধুরী আটক আছেন, একই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। গ্রেপ্তারের পরদিন ৮ ডিসেম্বর দুপুরে তাকে ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজতখানায় রাখা হয়। পরে সংশ্লিষ্ট তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে হাজির করে দশ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন, যার শুনানি ধার্য হয়েছিল ১১ ডিসেম্বর।

রিমান্ড আবেদনে তদন্ত কর্মকর্তা জানান, শওকত মাহমুদসহ আরও কয়েকজন অজ্ঞাত ব্যক্তি এনায়েত করিম চৌধুরীর সঙ্গে যোগসাজশে দেশের অখণ্ডতা ও জননিরাপত্তা বিনষ্টের পরিকল্পনা করেছেন। আবেদনে বলা হয়, তারা বিভিন্ন সময় রাজনৈতিক দল, উচ্চপদস্থ ব্যক্তিদের সঙ্গে গোপনে বৈঠক করেছেন, যার উদ্দেশ্য ছিল বর্তমান সরকারকে উৎখাত করা। তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, শওকত মাহমুদ কোন কোন সংগঠন বা ব্যক্তির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, সেসব তথ্য জানতে জিজ্ঞাসাবাদ জরুরি।

এনায়েত করিম চৌধুরীকে ১৩ সেপ্টেম্বর মিন্টো রোড এলাকায় সন্দেহজনকভাবে ঘোরাঘুরির সময় আটক করা হয়। তার পরিচয় যাচাই করতে গিয়ে পুলিশ জানতে পারে তিনি বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক এবং একটি বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার চুক্তিভিত্তিক এজেন্ট হিসেবে কাজ করেন বলে দাবি করেছেন। তার ফোন বিশ্লেষণে সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক তথ্য মিলেছে বলে তদন্ত সূত্র জানায়। তিনি জানান, বিশেষ একটি দেশের স্বার্থে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করতে তিনি বিভিন্ন গোপন বৈঠক করেছেন এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহালের পক্ষে কাজ করছিলেন।

মামলায় উল্লেখ আছে, এনায়েত করিম চৌধুরীর সহযোগী হিসেবে এসএম গোলাম মোস্তফা আজাদ, জাতীয় পার্টির রওশনপন্থি মহাসচিব কাজী মো. মামুনুর রশীদ, সাংবাদিক আজহার আলী সরকার ও যুব সংহতির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব রিফাতুল ইসলাম পাভেলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা বর্তমানে কারাগারে আছেন। মামলাটি দায়ের করেন রমনা মডেল থানার উপপরিদর্শক আজিজুল হাকিম।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে