কিশোরগঞ্জে বিভিন্ন হাসপাতালে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে

এফএনএস (মহিউদ্দিন লিটন; হাওর অঞ্চল, কিশোরগঞ্জ) : | প্রকাশ: ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫, ০৪:৫০ পিএম
কিশোরগঞ্জে বিভিন্ন হাসপাতালে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে

কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর-নিকলী ও কুলিয়ারচর সরকারি হাসপাতালে শীতের প্রকোপ বাড়ার সাথে সাথে হাসপাতাল গুলোতে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। বিশেষ করে যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম দূর্বল তারাই আক্রান্ত হচ্ছে সর্দি, কাশি, জ্বর, শ্বাসকষ্ট, গলা ব্যাথা, নিউমোনিয়া ও ডায়ারিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে বেশি। এদের মধ্যে শিশু ও বৃদ্ধ রোগীর সংখ্যা বেশি। চিকিৎসকরা জানান, ঋতু পরিবর্তনের কারণে ঠান্ডা হওয়ার ফলে অনেক রোগী শ্বাসতন্ত্রের জটিলতায় জ্বর ও ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছেন। এসব হাসপাতালে ঘুরে দেখা গেছে যারা বেশি ঠান্ডায় ভোগছেন তারাই হাসপাতাল মুখী হচ্ছেন। গতকাল শনিবার এসব হাসপাতালে ঘুরে দেখা গেছে, শিশু ও বৃদ্ধ রোগীর সংখ্যা ব্যাপক হারে বেড়েছে। বাজিতপুর সরকারি হাসপাতালে ১৮ মাস বয়সের ছেলেকে নিয়ে এসেছেন মা সুমাইয়া বেগম। তিনি বলেন, ৪ দিন ধরে ছেলের জ্বর, সর্দি, কাশি ও বুকে কফ জমে আছে। এখন পর্যন্ত ডাক্তার স্বল্পতার কারণে তার ছেলেকে দেখাতে পারেনি। বহির্বিভাগে গিয়ে দেখা যায় ডাক্তার আসে আর যায়। সোহেল রানা বলেন, বাসায় আমার মায়েরও শরীর খুব খারাপ। হাসপাতাল দূরে হওয়ায় মাকে নিয়ে আসতে পারিনি। কখনো ছোট  খাটো মেডিকেল সেন্টারে ডাক্তার দেখিয়ে পরামর্শক্রমে ওষুধ খাওয়াচ্ছি। এখনও পর্যন্ত মা ভালো হচ্ছে না। বাজিতপুর সরকারি হাসপাতালে গত ৫ দিনে রোগীর সংখ্যা প্রায় কয়েকশত ভর্তি রয়েছে। ডাক্তার আছেন মাত্র ২-৩ জন। একই অবস্থা কুলিয়ারচর ও নিকলী সরকারি হাসপাতালে। সেখানে রোগীরা গেলে প্যারাসিটামল ছাড়া কিছুই পাওয়া যায় না। খাবারের মান খুবই নাজুক অবস্থা বলে অনেক রোগী দাবী করেন। বাজিতপুর উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার পরিকল্পনা ও স্বাস্থ্য প্রশাসক ডাঃ নাজমুস সালেহীন বলেন, তীব্র শীতে শ্বাসকষ্টের রোগী বাড়ে। সেটা বায়ু দূষণের কারণেও বাড়ে। তাছাড়া দিনে দিনে মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা একেবারেই কমে যাচ্ছে। ঠান্ডা রোগে শিশু ও বয়স্কদের নিউমোনিয়া হয় বলে উল্লেখ করেন।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে