তুচ্ছ ঘটনায় রণক্ষেত্র সরাইল, আহত ৪০

এফএনএস (মাহবুব খান বাবুল; সরাইল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া) : | প্রকাশ: ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫, ০৬:৫৮ পিএম
তুচ্ছ ঘটনায় রণক্ষেত্র সরাইল, আহত ৪০

সংঘর্ষ যেন কোন ভাবেই পিছু ছাড়ছে না সরাইলের। তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আবারও রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে সরাইল। সোমবার সকালে গরূর উপর রিকশা তুলে দেয়ার জের ধরে সরাইল সদরের সৈয়দটুলা ও চানমনি পাড়া গ্রামের কয়েকশত লোক সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। থানা থেকে ২-৩ শত গজ দুরে ৪ ঘন্টা স্থায়ী এই সংঘর্ষটি সেনা সদস্যদের হস্তক্ষেপে নিয়ন্ত্রণে আসে। ততক্ষণে নারী পুরূষ ও শিশুসহ উভয় পক্ষের প্রায় ৪০ জন আহত হয়েছে। গুরূতর আহত এক ব্যক্তিকে ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে। 

স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সোমবার ছিল সরাইল সদরের সাপ্তাহিক পশুর হাট। সকাল সাড়ে ১১টার দিকে গরূ নিয়ে পশুর হাটে রওনা দেন সৈয়দটুলা গ্রামের মালু মিয়া (৫৭)। অন্নদা স্কুল মোড়ে যাওয়ার পর গাড়ির শব্দে গরূটি চানমনি পাড়ার বাসিন্দা ইউসুফের (২৮) ফলের দোকানে উঠে পড়ে। এতে ক্ষিপ্ত হন ইউসুফ। বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে ইউসুফরা মালু মিয়াকে কিল ঘুষি দিলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। মুহুর্তের মধ্যে আরো কিছু লোক উভয় পক্ষে অংশ গ্রহণ করায় সংঘর্ষের রূপ ধারণ করে। উপস্থিত কয়েকজন উভয় পক্ষকে শান্ত করে দেন। বেলা বারটার দিকে উভয় গ্রামের মাঝখানের ব্রীজের দুইপাশে দুই গ্রামের লোকজন দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সময় গড়ানোর সাথে উভয় গ্রামের সাথে আশপাশের কিছু লোকও অংশ গ্রহণ করে। এক সময় কয়েকশত লোকের অংশ গ্রহণে সংঘর্ষটি রণক্ষেত্রের রূপ ধারণ করে। বিকাল ৪ টার দিকে সেনা সদস্যদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। বেলা ১২টা থেকে শুরূ হওয়া ৪ ঘন্টার এই সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ৪০ জন আহত হয়েছে। গুরূতর আহত এক ব্যক্তিকে জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। অন্য আহত ব্যক্তিরা সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও আশপাশের প্রাইভেট ক্লিনিকে চিকিৎসা নিয়েছে। সরাইল সদর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল জব্বার বলেন, ভয়াবহ এই সংঘর্ষটি নিয়ন্ত্রণে সেনা সদস্যরা ভালো ভূমিকা রেখেছেন। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে