নীলফামারীর সৈয়দপুরে সবজির ভরা মৌসুম চলছে। বাজার যেন শীতকালিন সবজির সমাহার। তবে দাম নিয়ে শঙ্কায় ব্যবসায়ি ও চাষী। বাজার চলছে অনেকটা টালমাটাল। সকালে বাজার দর কমলেও বিকেলে থাকছে বেশি। আবার সকালে দাম বাড়লে তা বিকেলে কমে আসছে। এর কারণ বলতে নারাজ ব্যবসায়িরা।
এদিকে প্রতিদিন বাজার নিম্মমুখী হওয়ার দাবি চাষীদের। ফলে তারা লোকসানে পড়ছে। ক্রেতা সংকট হওয়ায় জমিতে থাকা সবজি কম দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। ফলে লোকসান কিভাবে পুরণ হবে তা নিয়ে চাষীদের মাথায় চিন্তার ভাঁজ পড়ছে।
সৈয়দপুরে দুইটি পাইকারি বাজার তা হল কুন্দল এলাকায় বিসমিল্লাহ মার্কেট ও বাইপাস এলাকায় সৈয়দপুর কাচা মালের আড়ৎ।
শনিবার ২০ ডিসেম্বর ওই দুই আড়তে গিয়ে দেখা যায়,পুরাতন আলু বিক্রি হচ্ছে ১২ টাকা কেজি দরে। আর নতুন আলু দেশি সাদা কেজি ১৫ টাকা। লাল জাতের খাগরাই কেজি ২০ টাকা। ওই আলু খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১৮ টাকা থেকে ৩০ টাকা।
বেগুন লম্বা প্রতি কেজির দাম আড়তে ৫০ টাকা। খুচরা বাজারে তা বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা। গোল বা ডোপা বেগুনের কেজি ২০ টাকা আড়তে। খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা। টমেটোর কেজি ৮০ টাকা। শশা ৪০ টাকা কেজি।
বাবই শাকের কেজি ৮০ টাকা,লাল শাক,পুই শাক,সবুজ শাক,কদু শাক,সরষে শাক বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে।
রসুনের কেজি কাচাটা ৮০ টাকা । শুকনো রসুনের কেজি ১৪০ টাকা। পেয়াজ কাচা কেজি ৮০ টাকা,শুকনো কেজি ১৬০ টাকা। আদা নতুন কেজি ১৪০ টাকা পুরাতন কেজি ২৬০ টাকা।
কাচা মরিচের কেজি আড়তে ৩০ টাকা আর খুচরা বাজারে ৬০ টাকা। ফুল কপি আড়তে কেজি হল ৫ টাকার কম আর খুচরা বাজারে ১৫ টাকা। বাঁধা কপির কেজি একই অবস্থা। মুলা আড়তে ৫ কেজির দাম ২০ টাকা আর খুচরা বাজারে ১ কেজির দাম ১৫ টাকা।
নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ চাঁদখানা ইউনিয়নে দেখা গেছে ফুল কপি ও বাধা কপি কৃষকের জমিতেই নষ্ঠ হচ্ছে। দাম কম ও ক্রেতা না থাকায় জমিতে এমন অবস্থা। কিন্তু বাজারে দাম বেশ ভালোই। কৃষকরা বলছেন মুলা ও কপির দাম কমে গেছে। জমি থেকে উত্তোলন খরচ না ওঠায় সবজি জমিতেই পঁচে নষ্ঠ হচ্ছে।