গত কয়েকদিন ধরে সাতক্ষীরায় জেকে বসেছে শীত এতে জনজীবন জবুথবু হয়ে পড়েছে। অন্যদিকে কৃষকদের বোরো চাষাবাদ সহ অন্যান্য ফসলের প্রন্তুতি নিতে বেশ বেগ পোহাতে হচ্ছে।
আর কিছুদিন পরই বোরো আবাদ পুরোদমে শুরু হবে উপজেলা জুড়ে। তার আগে ধানের চারা পরিচর্যার কাজে নেমে পড়েছে কৃষকরা। প্রচন্ড শীত ও ঘন কুয়াশার কারণে বোরো বীজতলা পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখছেন কৃষকরা। ফলে বীজতলা রক্ষা পাবে বলে জানান কৃষকরা। কৃষকরা জানান, প্রচন্ড ঠান্ডা ও কুয়াশার কারণে বোরো বীজতলা হলদে ও লাল হয়ে নষ্ট হয়ে যায়।
তাই বীজ রক্ষায় কৃষকরা বোরো বীজতলা পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখছেন যেন তা নষ্ট না হয়। কৃষি অফিসের পরামর্শে কৃষকরা তাদের বীজতলা পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখছেন বলে জানান কৃষক।
উপজেলার রাজেন্দ্রপুর গ্রামের কৃষক বৈদ্যনাথ ঘোষ জানান, এবার তিনি ১০ বিঘা জমিতে বোরো আবাদ করবেন। তার জন্য বীজতলা তৈরি করছেন। শীত ও কুয়াশা থেকে বীজতলাকে রক্ষা করার জন্য পলিথিন দিয়ে ঢেকে রেখেছেন।
আমতলাডাঙ্গা গ্রামের কৃষক সিরাজুল ইসলাম জানান, বীজ ফেলার আট দিন পরে বীজতলা পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে আর ২২ দিন পরে পলিথিন তুলে ফেলতে হবে। এতে করে বীজতলায় কোন রোগবালাইয়ের আক্রমণ হবে না। রোপণের জন্য ভালো বীজ পাওয়া যায়। পলিথিন দিয়ে বীজতলা ঢেকে রাখায় কোন কীটনাশকও দিতে হয় না। তাই বাড়তি কোনো খরচও হয়না।
সোমবার সকালে সরেজমিন বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, বীজতলায় চাষিরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। কেউ নতুন বীজতলা তৈরী করছে, আবার কেউ বীজতলা রক্ষায় পলিথিন দিয়ে ঢেকে রেখেছে। কৃষি বিভাগের পরামর্শে ঘন কুয়াশা থেকে বীজতলা রক্ষায় অনেকে ছত্রাকনাশক স্প্রে করছেন। কৃষকরা জানান বীজতলা নষ্ট হলে দাম আরও বেড়ে যাবে। এ জন্য তারা নিজের বীজতলা পরিচর্যা করছেন।
তালা উপজেলা কৃষি অফিসার হাজিরা খাতুন বলেন, প্রচন্ড ঠান্ডা ও ঘন কুয়াশায় বোরো বীজতলা বড় হতে পারে না, সেইসঙ্গে হলদে ও লাল হয়ে মরে যাওয়ার পাশাপাশি পচে যায়।
তিনি বলেন, যদি পলিথিন দিয়ে বীজতলা ঢেকে রাখা হয় তাহলে বোরো বীজ নষ্ট হবে না, বীজতলা রক্ষায় পলিথিন দিয়ে বীজতলা ঢেকে রাখার জন্য কৃষকদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।