চাঁদপুরের মেঘনা নদীতে ঘন কুয়াশার মধ্যে দুটি যাত্রীবাহী লঞ্চের সংঘর্ষে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত আটজন। জাকির সম্রাট-৩ ও অ্যাডভেঞ্চার-৯ নামের লঞ্চ দুটির এই দুর্ঘটনায় আরও কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে নৌ-পুলিশ ও নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
ঘটনাটি ঘটে বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত আনুমানিক ২টার দিকে। চাঁদপুর সদর উপজেলার হরিনা এলাকার মেঘনা নদীতে সংঘর্ষের পরপরই উদ্ধার তৎপরতা শুরু হয়। প্রাথমিকভাবে নিহতের সংখ্যা কম বলা হলেও পরে তা বেড়ে আটজনে দাঁড়ায়।
চাঁদপুর বিআইডব্লিউটিএর উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) বাবু লাল বৈদ্য জানান, ওই সময় নদীতে ঘন কুয়াশা ছিল এবং নৌপথে দৃশ্যমানতা অত্যন্ত কমে গিয়েছিল। এই অবস্থায় হরিনা এলাকায় লঞ্চ দুটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। তিনি বলেন, “ঘন কুয়াশার কারণে নৌপথে চলাচল ব্যাহত হচ্ছিল। সংঘর্ষের ঘটনায় আটজন নিহত হয়েছেন এবং কয়েকজন আহত হয়েছেন।”
নৌ-পুলিশ জানায়, দুর্ঘটনার সময় লঞ্চ দুটি কোন গন্তব্যে যাচ্ছিল, তা তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ফলে নিহতদের নাম ও পরিচয় শনাক্ত করতেও সময় লাগছে। আহতদের কয়েকজনকে উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
অন্য সূত্রে জানা গেছে, সংঘর্ষের পর হতাহত যাত্রীদের উদ্ধার করে ঢাকার সদরঘাটে নেওয়া হয়। সদরঘাট নৌ থানার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, উদ্ধারকৃত লাশগুলো শনাক্ত ও আইনি প্রক্রিয়া শেষে স্বজনদের কাছে হস্তান্তরের প্রস্তুতি চলছে।
এদিকে শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) সকালে নৌ-পুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের এসপি সৈয়দ মুশফিকুর রহমান নিহতের সংখ্যা আটজন বলে নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, দুর্ঘটনার কারণ ও দায় নির্ধারণে তদন্ত কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
ঘন কুয়াশার মৌসুমে নৌপথে চলাচলে আরও সতর্কতা প্রয়োজন বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। বিশেষজ্ঞদের মতে, এ ধরনের আবহাওয়ায় গতিসীমা নিয়ন্ত্রণ ও নেভিগেশন ব্যবস্থার প্রতি আরও বেশি গুরুত্ব না দিলে দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ে।