শেষ বল পর্যন্ত টানটান উত্তেজনা, একদিকে হ্যাটট্রিকের রোমাঞ্চ, অন্যদিকে হার না মানা লড়াই। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নোয়াখালী এক্সপ্রেসের বিপক্ষে এমন এক ম্যাচে এক উইকেটের নাটকীয় জয় তুলে নিয়েছে সিলেট টাইটান্স। মেহেদী হাসান রানার দুর্দান্ত হ্যাটট্রিকেও শেষ হাসি হাসতে পারেনি নোয়াখালী।
শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) বিপিএলের এই ম্যাচে ১৪৪ রানের লক্ষ্য তাৃড়া করতে নেমে শুরুতেই বড় ধাক্কা খায় সিলেট। মাত্র ৩৪ রানের মধ্যেই ফিরে যান সাইম আইয়ুব, রনি তালুকদার ও জাকির হাসান। চাপের মধ্যে দলকে সামাল দেন পারভেজ হোসেন ইমন ও অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ।
দুজনের ব্যাটে ম্যাচ অনেকটাই সিলেটের নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। ৮৩ রানের গুরুত্বপূর্ণ জুটিতে ইমন তুলে নেন আসরের আরেকটি হাফ সেঞ্চুরি। ৩৬ বলে পঞ্চাশ ছুঁয়ে ৬০ রানে জহির খানের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন তিনি। কিছুক্ষণ পর আফিফ হোসেন ধ্রুব এবং শেষ দিকে মিরাজও ফিরে গেলে আবার ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ পায় নোয়াখালী।
ম্যাচের মোড় ঘুরে যায় রানার শেষ ওভারে। নাসুম আহমেদ ও খালেদ আহমেদকে টানা দুই বলে ফেরানোর পর হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন তিনি। টি টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের অষ্টম এবং বিপিএলে নবম বোলার হিসেবে এই কীর্তি গড়েন রানা। তখন আবারও ম্যাচে ফিরে আসে নোয়াখালী এক্সপ্রেস।
শেষ ওভারে দরকার ছিল ১৩ রান। ইথান ব্রুকসের ছক্কা ও বাউন্ডারিতে সমীকরণ সহজ হলেও রান নিতে গিয়ে রানআউটে কাটা পড়েন তিনি। শেষ বলের আগে প্রয়োজন দাঁড়ায় এক রান। সাব্বির হোসেনের করা ওয়াইডে ম্যাচ টাই হয়ে যায়। শেষ বলটিতে সালমান ইরশাদ ও মোহাম্মদ আমির দৌড়ে এক রান নিয়ে নিশ্চিত করেন সিলেটের জয়।
এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে নোয়াখালীর শুরুটা ছিল দুঃস্বপ্নের মতো। মাত্র ৯ রানে তিন উইকেট হারায় তারা। আমির ও খালেদ আহমেদের পেসে টপ অর্ডার ভেঙে পড়ে। চাপের মধ্যে অধিনায়ক সৈকত আলী ও মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন কিছুটা স্থিরতা আনেন।
অঙ্কন শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে ৫১ বলে ৬১ রান করেন। জাকের আলীর ১৭ বলে ২৯ রানের ক্যামিওতে ভর করে নোয়াখালী পৌঁছায় ১৪৩ রানে। সিলেটের হয়ে খালেদ আহমেদ ২৩ রানে চার উইকেট নিয়ে ম্যাচের সেরা হন। দুটি উইকেট নেন সাইম আইয়ুব।
শেষ বলের নাটকীয়তায় এই জয় বিপিএলে সিলেট টাইটান্সের প্রথম জয় এনে দেয়। আর নোয়াখালী এক্সপ্রেস মাঠ ছাড়ে টানা দ্বিতীয় হারের হতাশা নিয়ে।