পাহাড়পুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত

এফএনএস (মোঃ আব্দুল্লাহ; কাহারোল, দিনাজপুর) : | প্রকাশ: ১৭ জানুয়ারী, ২০২৫, ০১:৩২ পিএম
পাহাড়পুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত

দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলার ৪নং তারগাঁ ইউনিয়নের পাহাড়পুর গ্রামে পাহাড়পুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত রয়েছে। প্রতিকার চেয়ে বিভিন্ন সময়ে আবেদন করেছেন সচেতন মহল বিভিন্ন দপ্তরে। কোন সুরাহা পান নি বলে অভিজ্ঞ মহল জানিয়েছেন। ১৬ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার স্কুলটিতে গিয়ে দেখা যায় মাঠে গরু বেঁধে দেওয়া আছে। অটো-ভ্যানগাড়ি সহ মাঠের মধ্যে রয়েছে কাঠের স্তুপ। এইসকল জিনিসপত্র থাকার কারনে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা মাঠের মধ্যে খেলা-ধুলা করতে পারছে না। জানা যায়, স্থানীয় লোকজন জমি দান করে ১ একর .৪ শতক উক্ত জমিতে প্রথমে বাঁশের বেড়া দিয়ে ঘর তৈরি করে এলাকার শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিয়েছেন সেখানকার লোকজন। বর্তমানে স্কুলটিতে ২টি ভবন রয়েছে ১ তলা বিশিষ্ট। শিক্ষার্থী রয়েছে ১২৫ জন। স্কুলে ৫টি শিক্ষকের পদের বিপরীতে রয়েছে ৩ জন, ২ জন পদশুন্য রয়েছেন। প্রধান শিক্ষকের চলতি দায়িত্বে রয়েছেন প্রফুল্ল চন্দ্র রায়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পূর্ব দিকে প্রাচীর নির্মাণ হলেও এখন পর্যন্ত নানা জটিলতার কারনে পশ্চিম দিকে প্রাচীর নির্মাণ করতে পারছেন না স্কুল কর্তৃপক্ষ। স্কুল মাঠের মধ্য দিয়ে এলাকার লোকজন অবাধে অটো রিক্সা, ভ্যান, ভটভটি, ট্রলি সহ বিভিন্ন ধরণের যানবাহন চলাচল করে। স্কুলের পশ্চিম দিকে ৬/৭টি বাড়ি রয়েছে তারা নিজের মত করে মাঠটি ব্যবহার করে আসছেন। দেখে মনে হয় না এ যেন স্কুল মাঠ। মনে হয় এটি একটি গো-চারণ ভূমি। এলাকার আনন্দ, সুবাস চন্দ্র, সতীষ চন্দ্র সহ অনেকে বলেন, স্কুলের মাঠের ভিতর দিয়ে আগের থেকে রাস্তা ছিল। বর্তমানে প্রাচীর দেওয়ার কারণে রাস্তটি বন্ধ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। স্কুলের মাঠের পশ্চিম দিকে ১৫/১৬টি গাছ রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির, গাছগুলি মহামূল্যবান। এখন পর্যন্ত কর্তৃপক্ষ গাছগুলিকে প্রাচীর দিয়ে স্কুলের বাউন্ডারির মধ্যে ঘেরে নিতে পারেন নি একটি অদৃশ্য শক্তির কাছে। এ ব্যাপারে কাহারোল উপজেলা শিক্ষা অফিসার এম,কে,এ জিনাত আলী বলেন, দ্রুত গাছগুলি বাউন্ডারির মধ্যে ঘেরে নেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন, প্রাচীর না থাকায় স্কুলের মাঠের মধ্যে গাছের ডাল সহ বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র রয়েছে। এমনটি মাঠে গরু বেঁধে রাখার কারণে শিশুরা খেলা-ধুলা করতে পারে না - এটি সত্য। তবে আমরা এলাকার লোকজনকে বলেছি তারা যাতে তাদের জিনিসপত্রগুলি সরিয়ে নেয় এবং মাঠের মধ্যে গরু না বাধে। উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ ফিরোজ আহম্মেদ বলেন, সীমানা নির্দ্ধারণ ও গাছের কারণে প্রাচীর নির্মাণ করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে দ্রুত নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করা হবে। কাহারোল উপজেলা নির্ব্হাী অফিসার মোঃ আমিনুল ইসলাম বলেন, অল্প কিছুদিনের মধ্যে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করা হবে। পূর্ব দিকের সীমানা প্রাচীর সম্পন্ন হয়েছে। দক্ষিণ ও পশ্চিম দিকের সীমানা প্রাচীর দ্রুত সম্মন্ন হবে।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে