অংশীদারের প্রাপ্য বুঝিয়ে না দিয়ে মিথ্যা মামলার অভিযোগ

এফএনএস (বরিশাল প্রতিবেদক) : | প্রকাশ: ১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫, ০৪:২১ পিএম
অংশীদারের প্রাপ্য বুঝিয়ে না দিয়ে মিথ্যা মামলার অভিযোগ

ব্যবসায়ীক হিসেব চাওয়ায় অংশীদারের প্রাপ্য বুঝিয়ে না দিয়ে উল্টো মিথ্যা মামলায় হয়রানির অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি ভিন্নখাতে প্রভাবিত করতে একটি মহল একাংশের মালিক পরিবেশ কর্মকর্তা, তার স্ত্রী ও শ্বশুরের পক্ষালম্বন করে থানা পুলিশ দিয়ে ব্যবসায়ীক পার্টনারকে বিভন্নভাবে হয়রানি শুরু করেছেন। ঘটনাটি ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের পাশ্ববর্তী গৌরনদী উপজেলার কটকস্থল বাসষ্ট্যান্ড সংলগ্ন মেসার্স আরিফ ফিলিং স্টেশনের। অভিযোগে জানা গেছে, ২০১৫ সালে আজমল আলম সিদ্দিকী সোহাগ নামের এক পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ও তার শ্বশুর মো. হারুন বেপারী যৌথভাবে মেসার্স আরিফ ফিলিং স্টেশন নামে একটি তেলের পাম্প নির্মাণ করেন। অর্থনৈতিক সংকটের কারনে ২০১৯ সালে ব্যবসার একাংশ জামাই ও শ্বশুর মিলে টরকী বন্দরের মৃত খালেক মুন্সির ছেলে মো. ফরহাদ হোসেন মুন্সীর কাছে বিক্রি করেন। পরবর্তীতে ফরহাদ মুন্সি তার ক্রয়কৃত ভাগের অংশ কটকস্থল গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা মো. মজিবুর রহামান ওরফে ইঙ্গুল মাঝির ছেলে মানিক মাঝির কাছে এবং ২০১৯ সালের শেষের দিকে মো. হারুন বেপারী তার অংশের চারআনা মজিবুর রহামান ওরফে ইঙ্গুল মাঝির কাছে বিক্রি করেন। সূত্রে আরও জানা গেছে, ব্যবসায়ের একপর্যায়ে অর্থনৈতিক সংকট আরও তীব্র ও অংশীদারী নিয়ে দ্বন্ধের জেরধরে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকে পাম্পটি। পরবর্তীতে ২০২৩ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর স্থানীয় সালিশগনের মধ্যস্থতায় ব্যবসায়ের অংশীদার আজমল আলম সিদ্দিকী সোহাগ ও তার স্ত্রী পপি আক্তার, শ্বশুর হারুন বেপারী, মুক্তিযোদ্ধা মো. মজিবুর রহামান ও মানিক মাঝির উপস্থিতিতে মজিবুর রহামানের অপর ছেলে হিরা মাঝির কাছ থেকে ননজুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে চুক্তিতে নগদ ৩০ লাখ টাকা গ্রহন করে পুনরায় ব্যবসা শুরু করেন।মুক্তিযোদ্ধা মজিবুর রহামান ইঙ্গুল মাঝি অভিযোগ করে বলেন, ক্রয়সূত্রে আমি ও আমার ছেলে মানিক মাঝি আরিফ ফিলিং ষ্টেশনের অর্ধেক মালিক। এছাড়াও আমার মেঝ ছেলে হিরা মাঝি দাতা হিসেবে ননজুডিশিয়াল ষ্ট্যাম্পে ২০২৩ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর প্রথমে ৩০ লাখ এবং পরে ২০২৪ সালের ২৬ জুলাই ১০ লাখ টাকা ব্যবসায় বিনিয়োগ করেন। ওই চুক্তিতে গৃহীতা হিসেবে হারুন বেপারী তার কন্যা পপি এবং আমার ছেলে মানিক মাঝি ও হিরা মাঝির স্বাক্ষর রয়েছে। মজিবুর রহামান আরো অভিযোগ করেন বলেন, কিছুদিন যাবত সঠিকভাবে ব্যবসার হিসেব না দেয়ায় আমার ছেলে মানিক মাঝি ব্যবসার টাকার হিসেব চাইতে যায় এবং পাম্পে কর্মরত স্টাফদের উপস্থিতিতে হিসেবের খাতায় স্বাক্ষর করে ২ লাখ ৯০ হাজার টাকা গ্রহন করেন। বিষয়টি ভিন্নখাতে প্রভাবিত করতে একটি বিশেষ মহলের ইন্ধনে আমাদের অংশিদারীত্ব থেকে বাদ দিতে অপর মালিক পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা আজমল আলম সিদ্দিকী সোহাগের স্ত্রী পপি আক্তারকে দিয়ে থানায় একটি চাঁদাবাজির মিথ্যে অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে আমার ছেলে মানিক মাঝি ও নাতী সিফাত মাঝিকে আটক করে জেলহাজতে প্রেরন করে পুলিশ। তারা তাদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে ফিলিং ষ্টেশন দখল নিয়েছে বলেও অভিযোগ করেন মুক্তিযোদ্ধা মজিবুর রহামান। অভিযোগের ব্যাপারে আরিফ ফিলিং ষ্টেশনের একাংশের মালিক পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা আজমল আলম সিদ্দিকী সোহাগের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ না করে একটি বিশেষ মহল দিয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্নধরনের হুমকি প্রদর্শন করিয়েছেন। এ ব্যাপারে সোহাগের স্ত্রী পপি আক্তার অভিযোগ ভিত্তিহীন দাবি করে বলেন, ফরহাদ মুন্সী জোরকরে আমাদের কাছ থেকে মালিকানা লিখে নিয়েছেন। মালিকানা চুক্তিপত্রের প্রধান স্বাক্ষী বার্থী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান প্যাদা বলেন, যখন ফরহাদ হোসেন মুন্সীর সাথে চুক্তিপত্র হয় তখন আমি ১নম্বর স্বাক্ষী ছিলাম। সেদিন কাউকে জোরকরে বা ভয় দেখিয়ে কোন চুক্তিনামা হয়নি বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে