খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার দিঘলিয়া এমএ মজিদ মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে জানালার গ্রীল কেটে দুঃসাহসিক চুরি সংঘটিত হয়েছে। বিদ্যালয়ের লকারে রক্ষিত নগদ টাকা নিয়ে নির্বিঘ্নে পালিয়ে গেছে। থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সংশ্লিষ্ট থানায় ও উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তাকে মৌখিকভাবে অবহিত করেছেন। দিঘলিয়া থানা পুলিশ ও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সূত্রে জানা যায়, দিঘলিয়া এম এ মজিদ মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে সংঘবদ্ধ চোরচক্র বিদ্যালয়ের ভেতরে ঢ়ুকে এ চুরি সংঘটিত করে। আগন্তক চোরচক্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কক্ষের পিছনের জানালার গ্ৰীল কেটে ভিতরে প্রবেশ করে। তারা প্রধান শিক্ষক ও অফিস কক্ষের অভিনব কৌশলে তালা খুলে ফাইলপত্র এলোমেলো করে। এসময় আগন্তক চোরচক্র বিদ্যালয়ের করনিক মোঃ আশরাফ আলীর লকারে রক্ষিত বিদ্যালয়ের নগদ ১৫ হাজার টাকা নিয়ে নির্বিঘ্নে পালিয়ে যায়। শনিবার সকালে প্রধান শিক্ষক ও বিদ্যালয়ের কর্মচারীগণ বিদ্যালয়ে এসে প্রতিটি আলমারি খোলা দেখতে পান। পরবর্তীতে দেখতে পান পিছনের জানালার গ্রীল কাটা। পরে প্রধান শিক্ষক সকল শিক্ষক ও কর্মচারীদের নিয়ে বিদ্যালয়ের সকল কক্ষ ও আসবাব পত্র ও সিসি ক্যামেরা ফুটেজ দেখে নিশ্চিত চুরি সংঘটিত হওয়ার ঘটনা নিশ্চত হয়ে দিঘলিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ এইচ এম শাহীন ও উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা আরিফুল ইসলামকে অবহিত করেন। খুলনার দিঘলিয়া এম এ মজিদ মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ রেজাউল ইসলাম মোল্লা জানান, সকালে চুরির ঘটনা বুঝতে পেরে বিদ্যালয়ে এসে প্রতিটি আলমারির লকার খোলা এবং জানালার গ্ৰীল ভাঙ্গা দেখে থানা পুলিশ ও উপজেলা নিবার্হী অফিসার আরিফুল ইসলামকে অবহিত করেছি। তিনি আরও জানান, শীত শুরু থেকে জানালা ভেতর থেকে বন্ধ ছিল ও জানালার পর্দ্দা ফেলানো ছিল। কোনো কৌশলে জানালার পাল্লা খুলে তারপর গ্রীল কেটেছে। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে জানা যায় চুরি ঘটনার সময় বিদ্যালয়ে নাইটগার্ড উপস্থিত ছিলেন না। তিনি এ প্রতিবেদককে আরো জানান, মুল্যবান ল্যাপটপগুলো বাইরে টেবিলের ওপর ও আলমিরাতে রাখা থাকলেও সেগুলোতে হাত দেয়নি চোরেরা। সিসি ফুটেজ দেখে নিশ্চিত হয়েছি চোরেরা ছদ্মবেশে ঐদিন রাত ৮.৪২ মিনিটে ঢোকে এবং ১০.৩৫ মিনিটে বের হয়ে যায়। তরোববার চুরির ব্যাপারে দিঘলিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হবে। দিঘলিয়া এলাকাবাসী এ প্রতিবেদককে জানান, কয়েক বছর পূর্বে দিঘলিয়া উপজেলার পানিগাতী ফাতেমা মেমোরিয়াল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১৭ টা ল্যাপটপ কয়েক বছর আগে রাতের আঁধারে চুরি হলেও এবং তদন্ত সংস্থার বার বার হাত বদল হলেও এবং দিঘলিয়ার সাবেক উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানসহ বেশ কয়েকটি বাড়িতে গ্রীল কেটে লোমহর্ষক দুর্র্ধষ চুরি সংঘটিত হলেও চুরির সাথে জড়িত চোর শনাক্ত ও চুরি হওয়া মালামাল উদ্ধার করতে পারেনি আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা। এ বিষয়ে দিঘলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ এইচ এম শাহিন জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তবে নৈশপ্রহরী বিদ্যালয়ে কেন অনুপস্থিত ছিলেন না সে বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে। চুরির মালামাল উদ্ধারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তিনি আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।