পুলিশের হাত থেকে ছিনিয়ে নেওয়ার চারদিন পর সুজানগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ আব্দুল ওহাবকে গ্রেফতার করেছে যৌথ বাহিনী। বুধবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে আব্দুল ওহাবকে তার গ্রামের বাড়ি উপজেলার মথুরাপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়। সুজানগর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ গোলাম মোস্তফা জানান, রোববার বিকাল ৫টার দিকে পাবনায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহতের ঘটনায় পাবনা সদর থানায় দায়েরকৃত মামলার এজাহার নামীয় পলাতক আসামী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ আব্দুল ওহাব মথুরাপুর উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন মসজিদ থেকে আসরের নামাজ আদায় করে বের হন। এ সময় উক্ত বিদ্যালয় মাঠে পূর্ব থেকে অবস্থান নেওয়া সুজানগর থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। এ ঘটনা জানাজানির পর মথুরাপুর গ্রামের আওয়ামী সমর্থক হাজার হাজার নারী-পুরুষ এসে পুলিশের কাছ থেকে আব্দুল ওহাবকে ছিনিয়ে নেয় । এ সময় পুলিশের সাথে তাদের ধস্তাধস্তি হলে দু'জন পুলিশ সদস্য আহত হয়। আহত দুই পুলিশ সদস্যকে সুজানগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এ ব্যাপারে এসআই মোঃ আজাহার আলী বাদী হয়ে পুলিশের কর্তব্য কাজে বাধার ধারায় আব্দুল ওহাবসহ ৬৫ জনকে আসামী করে থানায় একটি মামলা দায়ের করে। এরপর থেকে যৌথ বাহিনী তাকে গ্রেপ্তারে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে আসছিল। চারদিন গা-ঢাকা দিয়ে থাকার পর মঙ্গলবার রাতে আব্দুল ওহাব মথুরাপুর গ্রামের পূর্ব পাড়া এলাকার বাসিন্দা মোঃ আনসার আলী শেখের বাড়িতে এসে আশ্রয় নেয়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে যৌথ বাহিনীর একটি বিশেষ দল বুধবার রাতভর মথুরাপুর গ্রামে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে । এরই এক পর্যায়ে ভোর সাড়ে সাতটার দিকে যৌথ বাহিনী তাকে ওই বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের পরপরই আব্দুল ওহাবকে পাবনায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহতের ঘটনায় পাবনা সদর থানায় দায়েরকৃত মামলায় এবং সুজানগর থানায় পুলিশের কর্তব্য কাজে বাধার মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে বলে সুজানগর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মোঃ লালবুর রহমান জানান।