আগামী শুক্রবার ও শনিবার ফান্দাউক খেলার মাঠে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী ফান্দাউক দরবার শরীফের পীরে কামেলে মোকাম্মল হযরত শাহসূফী আলহাজ্ব সৈয়দ আবদুস ছাত্তার নকশে বন্দী(রঃ) ও পীরে কামেলে মোকাম্মেল হযরত শাহসূফী সৈয়দ নাছিরুল হক (মাসুম) নকশে বন্দী মোজাদ্দেদী ফান্দাউকী (রঃ) দ্বয়ের বার্ষিক ইছালে ছওয়াব উপলক্ষে দুই দিনব্যাপী ফান্দাউকের সভা সফল করার লক্ষে স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সোমবার বিকালে দরবার শরীফ প্রাঙ্গণে ফান্দাউক দরবার শরীফের মূখপাত্র পীরজাদা মাওলানা মুফতি সৈয়দ মঈনুদ্দিন আহমাদ আল-হোসাইনীর সভাপতিত্বে মাওলানা সৈয়দ আশরাফ শামীম আল-হোসাইনীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত হয়। মতবিনিময় সভায় পীরজাদা মাওলানা সৈয়দ আবুবক্কর সিদ্দিকী আল-হোসাইনী,পীরজাদা মাওলানা সৈয়দ বাকের মোস্তুফা আল-হোসাইনী,ফান্দাউক উলুম মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা আবু বক্কর ভূইয়া, সৈয়দ সাইফুদ্দিন আহমদ শিবলী উপস্থিত ছিলেন। মতবিনিময় সভায় দৈনিক মানব জমিন প্রতিনিধি আজিজুর রহমান চৌধুরী দৈনিক সংগ্রামের প্রতিনিধি অধ্যাপক একেএম আমিনুল ইসলাম,দৈনিক ইত্তেফাক প্রতিনিধি আকতার হোসেন ভূইয়া,দৈনিক ইনকিলাব প্রতিনিধি মোজাম্মেল হক মাসুমী,মাধবপুর উপজেলার দৈনিক ইনকিলাব প্রতিনিধি কেএম সামছুল হক,দৈনিক যুগান্তর প্রতিনিধি মনিরুল হোসাইন,আজকের পত্রিকার প্রতিনিধি বরুন কান্তি সরকার,দৈনিক কালবেলা‘র প্রতিনিধি আবদুল্লাহ আল মাহমুদ,দৈনিক বাংলাদেশের আলোর প্রতিনিধি নিহারেন্দু চক্রবর্তী,দৈনিক মানবকন্ঠের প্রতিনিধি শামীম আল মামুন,দৈনিক আমার সংবাদের প্রতিনিধি মো: আরিফুল ইসলাম,দৈনিক রুপালী বাংলাদেশের প্রতিনিধি মো: আহম্মদ হোসেন চৌধুরী,দৈনিক খোলা কাগজের প্রতিনিধি মো: পারভেজসহ উপজেলায় কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন। সভায় মাহফিলের সার্বিক প্রস্তুতি,কভারেজ পরিকল্পনা এবং সাংবাদিকদের ভূমিকা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। উপস্থিত সাংবাদিকরা তাদের মতামত ও পরামর্শ প্রদান করেন। দরবার শরীফের মূখপাত্র পীরজাদা মাওলানা মুফতি সৈয়দ মঈনুদ্দিন আহমাদ আল-হোসাইনী দুইদিন ব্যাপী মাহফিল সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে নাসিরনগর উপজেলায় কর্মরত সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করে জানান,দু‘দিনব্যাপী মাহফিলের কাজ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে শুক্রবার জু‘মার নামাজ বাদ। মাহফিল উপলক্ষে প্রায় ১৫ দিন ধরে সামিয়ানা টানানো হয়। বন(খড়)বিছিয়ে হাজার হাজার ভক্ত মুরিদান বসে বয়ান শুনেন। তাদের সুবিধার জন্য প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা রয়েছে। ব্রাহ্মনবাড়িয়া,হবিগঞ্জ,কিশোরগঞ্জ,ভৈরব,আশুগঞ্জ,নাসিরনগরসহ বিভিন্ন স্থ্ান থেকে হাজার হাজার মানুষের সমাগম ঘটে। চারশতাধিক শৌচাগার নির্মান করা হয়েছে। ৭ হাজার লোক এক সাথে খাবার খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিশাল এলাকা জুড়ে প্যান্ডেল নির্মান করা হয়েছে। আর এর পুরোটাই করা হয় স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে। দূরের আশেকানদের থাকার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ সভাকে ঘিরে এলাকার লোকজনের মধ্যে উৎসবের আমেজ দেখা দিয়েছে। মাহফিলে মহিলাদের আসা সম্পূন্ন নিষেধ রয়েছে। প্রতিবারের ন্যায় এবারও লাখো মুসল্লির অংশগ্রহনে মূখরিত হবে ফান্দাউক দরবার শরীফ।