ইলিশের জাটকা সংরক্ষণের জন্য লক্ষ্ণীপুরের রামগতি উপজেলার মেঘনা নদীর ইলিশ অভয়াশ্রম এলাকায় জাটকাসহ সব ধরনের মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা আজ মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টায় শেষ হয়েছে। জাটকা নিধন প্রতিরোধ কার্যক্রমের আওতায় মেঘনা নদীর ইলিশ অভয়াশ্রম এলাকায় মার্চ ও এপ্রিল দুই মাস ইলিশসহ সব ধরণের মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা ছিল। একই সময় জাটকা-ইলিশ মাছ ক্রয়-বিক্রয়, মওজুদ ও পরিবহন নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণ ও উন্নয়ন বিষয়ক জেলা ও উপজেলা ট্রাস্কফোর্স সরকারি ওই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করছিল।
এ দিকে নিষেধাজ্ঞা ওঠে যাওয়ার পর আগামীকাল বুধবার থেকে মেঘনা নদীতে পুরোদমে মাছ ধরার জন্য ইতোমধ্যে মাছ ঘাটগুলো সরগরম হয়ে উঠছে।
সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ও উপজেলা ট্রাস্কফোর্সের সদস্য সচিব মো. শৌরভ-উজ-জামান জানান, জাটকা নিধন প্রতিরোধের জন্য মার্চ ও এপ্রিল দু‘মাস চাঁদপুরের ষাটনল থেকে রামগতি উপজেলার আালেকজান্ডার পর্যন্ত মেঘনা নদীর ১০০ কিলোমিটার এলাকায় ইলিশ অভয়াশ্রমে সব ধরণের মাছ ধরা, ক্রয় বিক্রয় ও পরিবহন নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন ঘাট এলাকা এবং মেঘনা নদীতে অভিযান করে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হয়।
উপজেলা মৎস্য অফিস সুত্রে জানা যায়, জাটকা নিধন প্রতিরোধ কার্যক্রম চলার সময় ক্ষতিগ্রস্থ জেলেদের পুনর্বাসনের জন্য ভিজিএফ কর্মসুচির আওতায় চার মাসের জন্য (মার্চ থেকে জুন পর্যন্ত) ১২ হাজার ৫০০ জেলে পরিবারকে প্রতি মাসে ৪০ কেজি করে চাল দেয়া হচ্ছে।
রামগতি উপজেলার আসল পাড়া, সেন্টার খাল, গাবতলী, রামগতির হাট ও টাংকি বাজার মাছ ঘাট এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, জেলেরা জাল ও ট্রলার নিয়ে মাছ ধরার জন্য প্রস্তুত রয়েছেন। রামগতি মাছ ঘাটের জেলে আজাদ মাঝি, আসল পাড়া মাছ ঘাটের জেলে ইয়াছিন মাঝি বলেন, নিষেধাজ্ঞা থাকার কারণে গত দু‘মাস নদীতে মাছ ধরা যায়নি। নিষেধাজ্ঞা ওঠে গেলে নদী উন্মুক্ত - জেলেরাও প্রস্তুত।
আলেকজান্ডার সেন্টার খাল ঘাটের মাছ ব্যবসায়ী বাবুল দালাল বলেন, দু‘মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ায় থেকে নদী উন্মুক্ত হচ্ছে। জাল ও ট্রলার নিয়ে জেলেরা ইতোমধ্যেই ঘাটে আসতে শুরু করেছে।