রাজধানীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে সাবেক মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের বিরুদ্ধে দায়ের করা বিভিন্ন মামলায় আদালত তাদের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। বুধবার (১৯ মার্চ) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহিন রেজার আদালত শুনানি শেষে এই রিমান্ডের আদেশ দেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করেন, তবে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে আবেদন করলেও শুনানি থেকে বিরত থাকেন। পর্যালোচনার পর আদালত তাদের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ওমর ফারুক ফারুকী শুনানিতে অংশ নিয়ে রিমান্ডের প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা করেন, অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত আনিসুল হকের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এছাড়া, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় মোহাম্মদপুরের বসিলা এলাকায় মিরাজুল ইসলাম অর্ণব নিহতের ঘটনায় সাবেক সংসদ সদস্য সাদেক খানের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পরিদর্শক তরিকুল ইসলাম সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।
আদালতে হাজির করার পর বিচারক জানতে চান, তিনি কিছু বলতে চান কি না। জবাবে সাদেক খান বলেন, "আমি ওইখানে ছিলাম না। আর গুলি পাবো কোথায়?" এসময় এক আইনজীবী তাকে থামিয়ে দেন। এরপর আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
নিহতদের পরিবারের সদস্যরা পৃথকভাবে যাত্রাবাড়ী ও মোহাম্মদপুর থানায় মামলা করেন। তদন্ত শেষে বিভিন্ন পর্যায়ের রাজনৈতিক নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়।