ঈদে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ডিএমপির বিশেষ নির্দেশনা

নিজস্ব প্রতিবেদক : | প্রকাশ: ১৯ মার্চ, ২০২৫, ০৬:৫২ পিএম
ঈদে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ডিএমপির বিশেষ নির্দেশনা

পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে রাজধানী ঢাকাকে নিরাপদ ও উৎসবমুখর রাখতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। নগরবাসীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ১৪টি নির্দেশনা জারি করেছে সংস্থাটি। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত নিয়মিত বাহিনীর পাশাপাশি ‘অক্সিলারি ফোর্স’ নিয়োগ করা হয়েছে, যা অপরাধ দমনে কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছে ডিএমপি।

ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, পুলিশের গৃহীত পদক্ষেপের পাশাপাশি নাগরিকদের নিরাপত্তা সচেতনতা বৃদ্ধি অপরাধ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

ডিএমপির ১৪ দফা নির্দেশনা

১. নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার: বাসাবাড়ি, অ্যাপার্টমেন্ট, ব্যাংক, বীমা, বিপণিবিতানসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা রক্ষীদের সতর্ক থাকতে হবে এবং ২৪ ঘণ্টা নজরদারি নিশ্চিত করতে হবে।

২. প্রতিষ্ঠানের ছুটির সময় পরিকল্পনা: সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে একসঙ্গে ছুটি না দিয়ে কিছু অংশকে দায়িত্বে রাখা যেতে পারে, যাতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা বজায় থাকে।

৩. দরজা-জানালা তালাবদ্ধ রাখা: বাসাবাড়ি বা প্রতিষ্ঠান ত্যাগের আগে দরজা-জানালা সঠিকভাবে তালাবদ্ধ করতে হবে এবং প্রয়োজনে একাধিক তালা ব্যবহার করতে হবে।

৪. সিসি ক্যামেরা স্থাপন ও সচল রাখা: বাসাবাড়ি, বিপণিবিতান এবং প্রতিষ্ঠানে পর্যাপ্ত সিসি ক্যামেরা স্থাপন এবং তাদের কার্যকারিতা নিশ্চিত করতে হবে।

৫. অটো লক ও অ্যালার্ম: মূল দরজায় অটোলক এবং নিরাপত্তা অ্যালার্মযুক্ত তালা ব্যবহার করা যেতে পারে।

৬. আলোকসজ্জা বৃদ্ধি: রাতে বাসা ও প্রতিষ্ঠানের চারপাশ পর্যাপ্ত আলোকিত রাখতে হবে।

৭. মূল্যবান সামগ্রী সংরক্ষণ: অর্থ, মূল্যবান সামগ্রী এবং দলিলপত্র নিরাপদ স্থানে বা আত্মীয়ের হেফাজতে রেখে যেতে হবে। প্রয়োজনে ব্যাংক লকারের সাহায্য নেওয়া যেতে পারে।

৮. প্রতিবেশীদের সঙ্গে যোগাযোগ: বাসাবাড়ি ত্যাগের আগে পাশের ফ্ল্যাটের বাসিন্দাদের জানাতে হবে এবং তাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতে হবে।

৯. ভাড়াটিয়াদের অবহিত করা: বাসার মালিককে আগেভাগে জানাতে হবে যে তারা ঈদের ছুটিতে বাসা ছাড়ছেন।

১০. অনুমতি ব্যতীত প্রবেশ রোধ: বাসা বা প্রতিষ্ঠানে অনুমতি ছাড়া কেউ যেন প্রবেশ করতে না পারে, সে বিষয়ে নিরাপত্তাকর্মীদের সতর্ক করতে হবে।

১১. গ্যাস, পানি ও বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করা: বাসা বা প্রতিষ্ঠান ত্যাগের আগে লাইট, ফ্যান, পানির ট্যাপ ও গ্যাসের চুলা বন্ধ করা হয়েছে কি না, তা নিশ্চিত করতে হবে।

১২. গ্যারেজ নিরাপদ রাখা: বাসা বা প্রতিষ্ঠানের গাড়ির গ্যারেজ সুরক্ষিত রাখতে হবে।

১৩. সন্দেহজনক ব্যক্তিদের সম্পর্কে সতর্কতা: মহল্লা বা বাসার সামনে সন্দেহজনক কাউকে ঘোরাফেরা করতে দেখলে স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়ি ও থানাকে অবহিত করতে হবে।

১৪. অপ্রীতিকর ঘটনা প্রতিরোধ: কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে বা ঘটার সম্ভাবনা থাকলে তা দ্রুত স্থানীয় পুলিশকে জানাতে হবে।

নগরবাসী জরুরি প্রয়োজনে নিম্নলিখিত নম্বরগুলোতে যোগাযোগ করতে পারেন:

• ডিএমপি কন্ট্রোল রুম: ০১৩২০-০৩৭৮৪৫, ০১৩২০-০৩৭৮৪৬, ২২৩৩৮১১৮৮, ০২৪৭১১৯৯৮৮, ০২৯৬১৯৯৯৯।

• জাতীয় জরুরি সেবা: ৯৯৯।

ঢাকা মহানগরবাসীর সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং জানমাল রক্ষায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ অঙ্গীকারবদ্ধ। নিরাপত্তাব্যবস্থা কার্যকর করতে নগরবাসীর সহযোগিতা কামনা করছে সংস্থাটি।

0 LIKE
0 LOVE
0 LOL
0 SAD
0 ANGRY
0 WOW
আপনার জেলার সংবাদ পড়তে