কোম্পানীগঞ্জে জামায়াত শিবিরের নেতাকর্মি খুনিদের বিচারের দাবি

এফএনএস (নাসির উদ্দিন মিরাজ; বেগমগঞ্জ, নোয়াখালী) : : | প্রকাশ: ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০৪:০৪ এএম : | আপডেট: ৫ জানুয়ারী, ২০২৫, ১২:৩৫ পিএম
কোম্পানীগঞ্জে জামায়াত শিবিরের নেতাকর্মি খুনিদের বিচারের দাবি

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে জামায়াত শিবিরের সাত নেতাকর্মির খুনিদের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) উপজেলার বুসরহাট জিরো পয়েন্টে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা ও বসুরহাট পৌরসভা জামায়েত ইসলামী'র আয়োজনে ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের আমির  অধ্যক্ষ বেলায়েত হোসেনের সভাপতিত্বে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বসুরহাট পৌরসভা জামায়াতের আমীর মাওলানা মোশারেফ হোসেনের সঞ্চালনায় সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসিবে বক্তব্য রাখেন জেলা জামায়াতের আমীর ইসহাক খন্দকার। 

প্রধান বক্তা ছিলেন, সাবেক ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি ও ঢাকা দক্ষিণ জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারী ইয়াছিন আরাফাত।  

সমাবেশে বক্তরা অভিযোগ করে বলেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের নেতাকর্মিরা নির্মম ভাবে জামায়াত-শিবিরের সাত নেতাকর্মিকে গুলি করে হত্যা করেছে । এই ফ্যাসিস্ট শক্তি এখনো ষড়যন্ত্র করছে। তাদের প্রতিহত করতে হবে। এ সময় বক্তারা সাত নেতাকর্মি হত্যাকান্ডে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আানার দাবি জানান।নেতৃবৃন্দ  গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে সাত শহীদ ত্যাগকে স্মরণ করেন এবং ইসলামের বিপ্লবের মাধ্যমে এখুনের বদলা নিতে হবে।  


সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন, নোয়াখালী জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর মাওলানা নিজাম উদ্দীন ফারুক ও মাওলানা সাইয়েদ আহমদ, জেলা জামায়াতের সেক্রেটারী মাওলানা বোরহান উদ্দিন, ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় অফিস সম্পাদক আলমগীর মুহাম্মদ ইউছুপ,জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল ইসমাঈল হোসেন মানিক, কবিরহাট উপজেলা জামায়াতের আমীর ফখরুল ইসলাম মিলন, ঢাকাস্থ কোম্পানীগঞ্জ ফোরামের সভাপতি ডাঃ মোয়াজ্জেম হোসেন, ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় আইন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট আব্দুল্লাহ আল নোমান, ঢাকাস্থ কোম্পানীগঞ্জ ফোরামের সাধারণ সম্পাদক হাফেজ জহির উদ্দিন, নোয়াখালী জেলা দক্ষিণ ছাত্রশিবিরের সভাপতি হেদায়েত উল্যাহ মাসুদ প্রমূখ।  

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ১৪ ডিসেম্বর বিকেলে বসুরহাট বাজারের উপজেলা মসজিদ গেইটে জামায়াত-শিবিরের সাত নেতাকর্মিকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় নিহত জামায়াত কর্মি সাইফুল ইসলামের বড় ভাই আমিরুল ইসলাম বাদী হয়ে আদালতে একটি মামলার জন্য আবেদন করেন। আদালত আবেদনটি আমলে নিয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানাকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। পরে গত ২৬ সেপ্টেম্বর ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই বসুরহাট পৌরসভার সাবেক মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আবদুল কাদের মির্জা, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল, সাবেক ইউএনও নুরুজ্জামান, তৎকালীন থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শফিকুল ইসলাম ও ১৯ পুলিশ সদস্যসহ ১১২ জনের নামে একটি হত্যা মামলা রুজু করে। 

0 LIKE
0 LOVE
0 LOL
0 SAD
0 ANGRY
0 WOW
আপনার জেলার সংবাদ পড়তে