ক্রাইস্টচার্চ টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষে ইংল্যান্ডের সংগ্রহ পাঁচ উইকেটে ৩১৯ রান। সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন হ্যারি ব্রুক। ইংল্যান্ড এখনো পিছিয়ে আছে ২৯ রানে। ক্রিজে আছেন হ্যারি ব্রুক ও বেন স্টোকস। ৮ উইকেটে ৩১৯ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিন শুরু করে নিউজিল্যান্ড। অর্ধশতক পূর্ণ করেন গ্লেন ফিলিপস। তবে পাননি কোনো সঙ্গী। টিম সাউদি দিনের শুরুতেই আউট হয়ে যান। ২৫ বলে ১৫ রান করেন সাউদি। উইল ও’রুর্ক রানের খাতা খুলতেই ব্যর্থ হন। ১৩ বলে কোনো রান না করেই তিনি আউট হলে অলআউট হয়ে যায় নিউজিল্যান্ড। ফিলিপস অপরাজিত থাকেন ৫৮ রানে। ৮৭টি বল মোকাবেলা করেন তিনি। তার ব্যাট থেকে আসে ছয়টি চার ও একটি ছক্কা। নিউজিল্যান্ড সংগ্রহ করে মোট ৩৪৮ রান। ইংল্যান্ডের পক্ষে চারটি করে উইকেট নেন শোয়াইব বশির ও ব্রাইডন কার্স। জবাব দিতে নেমে শুরুতেই জ্যাক ক্রোলির উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। রানের খাতা খোলার আগেই বিদায় নেন তিনি। ১২টি বল মোকাবেলা করেন ক্রোলি। ম্যাট হেনরির বলে এলবিডব্লিউ হন। জ্যাকব বেথেলও বেশি রান করতে পারেননি। ৩৪ বলে ১০ রান করে আউট হন নাথান স্মিথের বলে। একই ওভারে জো রুটকেও শিকার করেন নাথান স্মিথ। রুটও পান ডাকের তিক্ত স্বাদ। চারটি বল মোকাবেলা করার পর বোল্ড হন ইংল্যান্ডের অভিজ্ঞ এই ব্যাটার। খানিক পরই বিদায় নেন ওপেনার বেন ডাকেট। ৬২ বলে ৪৬ রান করেন তিনি। ও'রুর্কের বলে ক্যাচ আউট হওয়ার আগে ৬টি চার হাঁকান ডাকেট। মাত্র ৭১ রানেই চার উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে ইংল্যান্ড। বিপদ থেকে ইংল্যান্ডকে উদ্ধার করেন হ্যারি ব্রুক ও ওলি পোপ। পঞ্চম উইকেটে তারা ১৫১ রানের জুটি গড়েন। ১৮৮ বলে এই রান যোগ করেন তারা। তাদের জুটিতেই আবার ম্যাচে ফিরে আসে ইংল্যান্ড। পোপকে আউট করে এই জুটি ভাঙেন টিম সাউদি। ৯৮ বলে ৭৭ রান করেন পোপ। তার ব্যাট থেকে আসে ৮টি চার। পোপ আউট হয়ে গেলেও ব্রুক সেঞ্চুরি হাঁকান। ১২৩ বলে তিন অঙ্ক স্পর্শ করেন তিনি। দিন শেষে ব্রুক অপরাজেয় আছেন ১৩২ রানে। ১৬৩টি বল মোকাবেলা করেছেন তিনি। তার ব্যাট থেকে এসেছে ১০টি চার ও দুইটি ছক্কা। ২৫ বছর বয়সী ব্রুকের টেস্ট ক্যারিয়ারের সপ্তম সেঞ্চুরি এটি। অধিনায়ক বেন স্টোকসের সাথে ৯৭ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিও গড়েছেন ব্রুকস। তাদের জুটি বল মোকাবেলা করেছে ১৩০টি। স্টোকস ক্রিজে আছেন ৩৭ রানে। তিনি খেলেছেন ৭৬টি বল। স্টোকসের ব্যাট থেকে এসেছে চারটি চার। দিন শেষে ইংল্যান্ডের সংগ্রহ পাঁচ উইকেটে ৩১৯ রান। প্রথম দিন শেষে নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহও ছিল ৩১৯ রান। ইংল্যান্ডের পাঁচটি উইকেটের দুইটি নিয়েছেন নাথান স্মিথ ও একটি করে উইকেট নিয়েছেন সাউদি, ও’রুর্ক ও হেনরি। ইংল্যান্ড এখনো পিছিয়ে আছে ২৯ রানে। তবে তাদের এখনো হাতে আছে পাঁচটি উইকেট। তাই বলাই যায় ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ এখন ইংল্যান্ডের হাতেই।