ময়মনসিংহের ভালুকা নিখোজ মো. মামুন মিয়াকে পাওয়া গেছে। সুনামগঞ্জের বাহুবল উপজেলায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পড়ে থাকা অবস্থায় জনৈক বাসচালক বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারী) রাতে তাকে উদ্ধার করে। মামুন মিয়া নেত্রকোনার দূর্গপুরের শ্রীপুর গ্রামের মো. মগবুল হোসেনের ছেলে। তিনি উপজেলার হবিরবাড়ি ইউনিয়নের জামিরদিয়া এলাকায় ভাড়ায় বসবাস করে একই এলাকার নোমান কম্পোজিট টেক্সটাইল মিলে কর্মরত ছিলেন। সোমবার (১০ ফেব্রূয়ারী) ভালুকা উপজেলার হবিরবাড়ি ইউনিয়নের জামিরদিয়া এলাকা থেকে তিনি নিখোঁজ হন। ওই ঘটনায় মামুনের ভাই মো. ইসলাম উদ্দিন মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারী) রাতে ভালুকা মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। উদ্ধারের পর স্থানীয়দের কাছে মামুনের দেয়া বক্তব্যে জানা যায়, সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারী) রাত ১০টার দিকে ডিউটি শেষে কর্মস্থল থেকে বের হয়ে উপজেলার হবিরবাড়ি ইউনিয়নের জামিরদিয়া গ্রামের বাসায় ফিরছিলেন তিনি। ওই পথিমধ্যে পাশের লেচু বাগানের নিকট অজ্ঞাত তিন ব্যক্তি পেছন দিক থেকে ডাক দেয় এবং তার ভাড়া বাসায় তার সাথে ব্যাচেলর হিসাবে থাকতে চায়। পরে আরও দুইজন ওই স্থানে উপস্থিত হয়ে তার চোখ মুখ বেধে ফেলে। পরে তাকে অজ্ঞান ও অপহণ করে অজানা স্থানে নিয়ে একটি ঘরে আবদ্ধ করে রাখে। পরবর্তীতে তারা একটি হায়েজ গাড়িতে করে নিয়ে হাত-পা বেধে একটি সড়কের পাশে ফেলে দেয়। ওই সময় কয়েকজন পথচারী তাকে সড়কের পাশে পড়ে থাকতে দেখেও সহায়তা করেনি। পরে, একজন বাসচালক ও অন্যান্যরা তাকে উদ্ধার করে বাহুবল হাসপাতালে নিয়ে যায়। ভালুকা মডেল থানা পুলিশ বাহবল থানা থেকে মামুনকে আনতে গেছেন।