উপজেলা নির্বাহী অফিসারের আদেশ অমান্য করে সরকারি ভবন ব্যবহারে বাধা দেয়ার অভিযোগ উঠেছে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার ২ নং গোলখালী ইউনিয়নের দক্ষিণ বলইবুনিয়া দাখিল মাদরাসার নতুন ভবন নির্মাণের সুবিধার্তে পুরাতন ভবন অপসারণ করা হয়। ফলে শিক্ষার্থীদের পাঠদানের ব্যবস্থা না থাকায় বিপাকে পড়েছেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। বর্তমানে মাদরাসার শিক্ষার্থীরা খোলা আকাশের নিচে বার্ষিক পরীক্ষা দিচ্ছে। এতে রোদের তাপ ও বাইরের প্রতিকূল পরিবেশে নানা সমস্যার মধ্য দিয়ে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এ নিয়ে পাশের নব নির্মিত প্রাখমিক বিদ্যালয় ভবনের নিচতলা ব্যবহারের জন্য ওই মাদ্রাসার সুপার উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে লিখিত আবেদন করেন। মাদ্রাসার নতুন ভবন নির্মাণাধীন সময়ে শিক্ষার্থীদের পাঠদানের জন্য প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনের নিচতলা ব্যবহারের জন্য ইউএনও লিখিত আবেদনপত্রে স্বাক্ষর করে অনুমতি দেন। কিন্তু এতে বাধা প্রদান করেন দক্ষিণ বলইবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. বাবুল হোসেন। বাধ্য হয়ে গত ২৪ নভেম্বর থেকে ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত মাদ্রাসার শিক্ষাথীদের বার্ষিক পরীক্ষা কার্যক্রম খোলা আকাশের নিচে চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষকরা। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বলইবুনিয়া দাখিল মাদ্রাসার মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৩৫০ জনের অধিক। মাদ্রাসার সুপার মোহাম্মদ আব্দুল মালেক বলেন, আমরা শিক্ষকরা ইউএনওর অনুমতিপত্র নিয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বাবুল হোসেনের কাছে গিয়ে শিক্ষার্থীদের পাঠদানের জন্য প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনের নিচতলা সাময়িক ব্যবহার করার জন্য অনুরোধ করি, কিন্তু বাবুল হোসেন কোনক্রমেই তার বিদ্যালয় ভবনের নিচতলা ব্যবহার করতে দেননি। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ বাবুল হোসেন বলেন,আমি অনুমতি দেওয়ার কেউ না আমার কর্তৃপক্ষ উপজেলা শিক্ষা অফিসার তাহারা অনুমতি না দিলে আমার কিছু করার নেই। এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজানুর রহমান বলেন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনের নিচতলা মাদরাসার শিক্ষার্থীদের পাঠদানের ব্যবহার জন্য লিখিত অনুমতি দিয়েছি, এবং প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে ফোনে না পেয়ে সহকারী এক শিক্ষককে আমি মৌখিকভাবে বলেছি, তার পরেও কেনো দেওয়া হয়নি এ ব্যাপারে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।