এফএনএস (মোঃ শামিম উল হক শাহিন; গাইবান্ধা) : নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর ধাপেরহাট ইউনিয়ন শাখার সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন হত্যার ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে। মামলায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ধাপেরহাট ইউনিয়ন শাখার একাধিক নেতাকর্মীদেরকে আসামি করা হয়েছে। এরই প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে জামায়াতে ইসলামী সাদুল্লাপুর উপজেলা শাখা। সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দলটির সাদুল্লাপুর উপজেলা শাখার অস্থায়ী কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, সাদুল্লাপুর উপজেলা শাখার সেক্রেটারী মো. সিরাজুল ইসলাম তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, গত ১৩ ফেব্রুয়ারি ধাপেরহাট জামদানী মোড়ে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন কতিপয় দুর্বৃত্তের হাতে নিহত হয়েছেন। আমরা উক্ত হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে প্রকৃত অপরাধীর বিচার দাবী করছি। সেইসাথে আব্দুল্লাহ আল মামুন হত্যায় অংশগ্রহণকারী প্রকৃত খুনীদের রক্ষার্থে হীন ষড়যন্ত্র করতে নিরাপরাধ কিছু জামায়াতের নেতাকর্মীদের আসামি করে মামলা করা হয়েছে। এসব আসামির মধ্যে ১৬ জন জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মী রয়েছে। এই ঘটনার সাথে সম্পৃক্ততা না থাকলেও জামায়াতে ইসলামীর সাদুল্লাপুর উপজেলা শাখার যুব বিভাগের সেক্রেটারী গোলাম রব্বানী রতন, ইউনিয়ন শাখার সেক্রেটারী সুজন মিয়া, শ্রমিক কল্যাণের সভাপতি রোস্তম, কর্মী আশরাফুল, রাব্বি, বাবু, পিয়াস, লিমন, চায়েন, সাফি, পারভেজ, রেজওয়ান, রায়হান, ফেরদাউস, ওহাব আলী ও রাশেদকে আসামি করা হয়। ষড়যন্ত্রমূলকভাবে তাদের আসামি করায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, সাদুল্লাপুর উপজেলা শাখার আমীর এরশাদুল হক ইমন বলেন, ইতোমধ্যে ওই হত্যার দৃশ্য সিসিটিভির একটি ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপরাধীদের মুখ ঢাকা অবস্থায় লাঠিসোডা নিয়ে দেখা যায়। এরপরেও ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে বিভিন্ন পোষ্টারে শুধুমাত্র জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীদের নামে ছাপানো হয়েছে। যা বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভাবমুর্তি নষ্ট করার হীন উদ্দেশ্য। এছাড়াও অন্যান্য দলের আসামি থাকলেও তাদের নামে পোষ্টার ছাপানো হয়নি। প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীদেরকে জড়ানো হয়েছে। তাদেরকে দ্রুত এ ঘটনার অভিযোগ থেকে মুক্তি দেওয়াসহ প্রকৃত আসামিদের গ্রেফতার দাবি করছি।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর গাইবান্ধা জেলা শাখার রাজনৈতি সেক্রেটারী ও গাইবান্ধা-৩ আসনের মনোনিত এমপি প্রার্থী অধ্যক্ষ মাওলানা নজরুল ইসলাম লেবু, উপজেলা শাখার সহ সেক্রেটারী মুফতি মাওলানা শফিউজ্জামান সুমন, বাইতুলমাল সম্পাদক লোকমান হোসেন, সাবেক আমীর মাওলানা আব্দুর রউফ মিয়া, শহর শাখার সভাপতি শাহাবুল আলম কাজল, ওয়ার্ড শাখার সভাপতি শহিদুল ইসলাম, উপজেলা যুব জামায়াতের সভাপতি ইসমাইল হোসেন মন্ডল, সাবেক সেক্রেটারী মাইদুল ইসলামসহ অনেকে।