চিলমারীতে ৭ বছর তেল শূন্য ভাসমান ডিপো

এফএনএস (মোঃ সিদ্দিকুল ইসলাম সিদ্দিক; চিলমারী, কুড়িগ্রাম) : : | প্রকাশ: ১৬ জানুয়ারী, ২০২৫, ০৩:৪৭ পিএম
চিলমারীতে ৭ বছর তেল শূন্য ভাসমান ডিপো

কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলায় ব্রহ্মপুত্র নদে অবস্থিত ভাসমান তেল ডিপো যমুনা অয়েল কোম্পানী লিঃ ও মেঘনা পেট্রোলিয়াম লিঃ এর বার্জ দুটি প্রায় ৭ বছর ধরে তেল শূন্য অবস্থায় পড়ে আছে। ফলে, এ এলাকার কৃষি খাতে সেচ প্রকল্প মারাত্মকভাবে ব্যহত হচ্ছে। চলতি মৌসুমে ইরি বোরো চাষ ব্যহত হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। ডিলাররা পার্বতীপুর/রংপুর ডিপো থেকে তেল নিয়ে আসতে পরিবহন খরচ বৃদ্ধি পাওয়ায় কৃষক ও ডিজেল চালিত পরিবহন মালিকদের অতিরিক্ত মূল্যে তেল কিনে জমিতে সেচ দিচ্ছে । জানা গেছে, ১৯৮৯ সালে চিলমারীতে মেঘনা ও যমুনা কোম্পানীর দু’টি ভাসমান তেল ডিপো স্থাপিত হয়ে কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, জামালপুর ও লালমনিরহাট জেলায় জ্বালানী তেল সরবরাহ করে আসছে। ডিপো দু’টির অনুমোদিত ২২ জন ডিলার সরকারীভাবে প্রদত্ত দরে জ্বালানী তেল ক্রয় করে এসব এলাকার খুচরা বিক্রেতাদের নিকট সরবরাহ করত। ২০১৮ সালে ৮জানুয়ারি তারিখে যমুনা অয়েল কোম্পানী লিঃ ও ২২ ফেব্রুয়ারি তারিখে মেঘনা পেট্রোলিয়াম লিমিটেড এর তেল শেষ হওয়ার পর থেকে প্রায় ৭বছর ধরে তৎকালীন ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার টাল-বাহনা করে  ডিপো দু’টিতে তেল সরবরাহ বন্ধ রাখে। ভাসমান তেল ডিপো দু’টি থেকে চিলমারী, উলিপুর, নাগেশ্বরী, ভুরুঙ্গামারী, নারায়নপুর, যাত্রাপুর, সাহেবের আলগা, রৌমারী, রাজিবপুর, সানন্দবাড়ী, জাফরগঞ্জ, কামারজানীসহ বিভিন্ন এলাকায় সেচ মৌসুমে তেল সরবরাহ করে থাকে। এ এলাকায় ব্রহ্মপুত্র নদে ইঞ্জিন চালিত নৌকা, ড্রেজার মেশিন, জমি চাষের ট্রাক্টর, বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চালিত জেনারেটর, মাহেন্দ্র গাড়ী, নছিমন-করিমনসহ বিভিন্ন যন্ত্র চালনার জন্য প্রতিদিন ৫০-৬০ হাজার লিটার তেলের চাহিদা রয়েছে। এছাড়াও সম্প্রতি চরাঞ্চলে চলতি ইরি বোরো মৌসুমে জমি চাষ ও সেচ মিলে প্রতিদিন প্রায় ৩০ হাজার লিটার তেলের চাহিদা রয়েছে। যমুনা অয়েল কোম্পানী লিঃ এর ডিপো ইনচার্জ মোঃ শরিফুল ইসলাম বলেন, ভাসমান ডিপোটি স্থায়ীকরণের জন্য বিপিসি’র একটি টিম পরিদর্শন করে গেছেন। মেঘনা ডিপোর ইনচার্জ মহসীন আলী বলেন, ব্রহ্মপুত্রের নাব্যতা হ্রাসের কারণে তেল ভর্তি জাহাজ আসতে না পারায় তেল সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। সরকারিভাবে প্রতি লিটার ডিজেল ১০০.২৫টাকা নির্ধারিত থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। ব্যবসায়ীরা বলেন, রংপুরের পার্বতীপুর ডিপো থেকে তেল আনতে পরিবহন খরচ বেশি হওয়ার কারনে ১০৪.৬৮টাকা দরে বিক্রয় করতে হচ্ছে। কৃষক সুজা মিয়া বলেন, ভাসমান তেল ডিপো থেকে তেল ক্রয়ে সাশ্রয় হতো, ডিপোতে তেল না থাকায় অতিরিক্ত দামে বাজার থেকে তেল কিনে চাষাবাদ করতে হচ্ছে।

0 LIKE
0 LOVE
0 LOL
0 SAD
0 ANGRY
0 WOW
আপনার জেলার সংবাদ পড়তে