বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী শনিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বললেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণ ও জনসাধারণকে স্বস্তি দিতে অন্তর্বর্তী সরকার ব্যর্থ হচ্ছে। অন্তর্বর্তী সরকার এখনও বাজারের সিন্ডিকেট দমন করতে পারেনি। পণ্যের লাগামহীন উচ্চমূল্যে দিশেহারা মানুষ। প্রতিদিনের সংসারের ব্যয় মেটাতে যুদ্ধ করতে হচ্ছে জনগণকে।
রুহুল কবির রিজভী আরও যোগ করে বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির মধ্যে ‘মরার ওপর খাঁড়ার ঘা’ হিসেবে চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মাঝপথে এসে শতাধিক পণ্য ও সেবার ওপর মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট এবং সম্পূরক শুল্ক বাড়িয়েছে সরকার। তাতে দৈনন্দিন জীবনযাত্রার খরচ আরেক দফা বাড়ছে সাধারণ মানুষের।
তিনি বলেন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর ব্যবসা-বাণিজ্য খাতে বড় ধরনের ধাক্কা লেগেছে। এখনও লোকসান কাটিয়ে উঠতে পারেননি ব্যবসায়ীরা। এমন পরিস্থিতিতে ভ্যাট বাড়ানোর সিদ্ধান্ত আত্মঘাতীমূলক। এ ধরনের কর এমন এক সময়ে বাড়ানো হলো, যখন দেশে উচ্চ মূল্যস্ফীতি বিরাজমান।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার কারণে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠছে। সেখানে জীবন রক্ষাকারী ওষুধ, এলপি গ্যাস, গুঁড়া দুধ, বিস্কুট, আচার, টমেটো কেচাপ বা সস, জুস, টিস্যু পেপার, ফলমূল, সাবান-ডিটারজেন্ট পাউডার, মিষ্টি, চপ্পলের ওপর ভ্যাট হার বৃদ্ধি মধ্যম ও নিম্ন আয়ের মানুষকে আরও চাপে ফেলবে।