অবশেষে অভিশংসিতই হতে হলো দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইউলকে। দক্ষিণ কোরিয়ার আইনপ্রণেতাদের ভোটে তিনি অভিশংসিত হয়েছেন। সম্প্রতি সামরিক আইন জারির কয়েক ঘণ্টা পর প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন তিনি।
সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, স্থানীয় সময় শনিবার বিকেলে এক সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয়বারের মতো অভিসংশনের লক্ষ্যে অনাস্থা ভোটের আয়োজন করা হয়। এতে ৩০০ জন আইনপ্রণেতার মধ্যে ২০৪ জন সদস্য প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছেন। অপরদিকে ৮৫ জন বিপক্ষে, তিনজন ভোটদানে বিরত এবং চারটি ভোট বাতিল হয়।
বিবিসি আরও জানায়, অভিশংসিত হওয়ায় ইওল কর্তৃত্ব হারাবেন, কিন্তু সাংবিধানিক আদালত তাকে অপসারণ বা পুনর্বহাল না করা পর্যন্ত তিনি পদে থাকবেন। প্রধানমন্ত্রী হান ডাক-সু ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করবেন।
প্রসঙ্গত, গত ৩ ডিসেম্বর রাতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে ‘রাষ্ট্রবিরোধী শক্তিকে’ সমূলে উৎপাটনের কথা বলে হঠাৎ সামরিক আইন জারির ঘোষণা দেন ইউন। তাঁর এ ঘোষণায় পুরো দক্ষিণ কোরিয়া স্তম্ভিত হয়ে যায়। কিন্তু পার্লামেন্ট তাঁর জারি করা ডিক্রির বিরুদ্ধে সর্বসম্মতিক্রমে ভোট দেওয়ার জন্য সামরিক বাহিনী ও পুলিশের বেষ্টনী উপেক্ষা করার পর আদেশ বাতিল করেন তিনি, তার মধ্যেই প্রায় ছয় ঘণ্টা পার হয়ে যায়। কিন্তু তাঁর এই পদক্ষেপে দক্ষিণ এশিয়া কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে গুরুতর রাজনৈতিক সংকটে পড়ে। গণতান্ত্রিক সাফল্যের গাথা রচনাকারী দক্ষিণ কোরিয়ার অর্জিত সুনাম নষ্ট হওয়ার হুমকি তৈরি হয়। বিরোধীদলের অভিশংসন প্রস্তাবের মুখে পড়েন ইউন। -বিবিসি