মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা থেকে ৪দিনের ব্যবধানে চারটি জাহাজে ৫২ হাজার টন অপরিশোধিত সয়াবিন চট্টগ্রাম বন্দরের জলসীমায় আসে। এই অপরশোধিত সয়াবিন তেল আমদানি করেছে সিটি গ্রুপ, মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ ও টিকে গ্রুপ।
তেলের সরবরাহ বাড়ায় বাজারে বোতলজাত সয়াবিনের যে সাময়িক সংকট চলছে তা কেটে যাবে বলে দাবি ব্যবসায়ীদের।
এ বিষয়ে টিকে গ্রুপের পরিচালক শফিউল আতহার বলেন, তেলের দাম সমন্বয়ে সরকারের আশ্বাসে এসব সয়াবিন আমদানির জন্য অনেক আগেই ঋণপত্র খোলা হয়েছিল। এখন মূল্য সমন্বয়ের কারণে আমদানি সামনে আরও বাড়বে। রোজার সময় সয়াবিন তেলের সংকট হবে না। যদিও এখন যেসব জাহাজ আসছে সেগুলোতে টনপ্রতি সয়াবিনের দর এক হাজার ২১৭ ডলার পড়েছে।
চট্টগ্রাম বন্দরের তথ্য অনুযায়ী, শনিবার (৭ ডিসেম্বর) জাহাজ ‘এমটি আরডমোর শায়ানি’ ও ‘এমটি ডাম্বলডোর’ বন্দরে আসে ২১ হাজার ৫০০ টন সয়াবিন তেল নিয়ে। আজ মঙ্গলবার বন্দর জলসীমায় পৌঁছেছে ‘এমটি সানি ভিক্টরি’ ও ‘এমটি জিঙ্গা থ্রেশার’ নামে আরও দুটি জাহাজ। এই দুই জাহাজে রয়েছে ৩০ হাজার ৬০০ টন সয়াবিন তেল। এর মধ্যে ‘এমটি আরডমোর শায়ানি’ জাহাজ থেকে তেল খালাস শেষ হয়েছে। সোমবারই (৯ ডিসেম্বর) জাহাজটি বন্দর ছেড়েছে। জাহাজগুলোর মধ্যে ‘সানি ভিক্টরি’ এসেছে ব্রাজিল থেকে, বাকি তিনটি আর্জেন্টিনা।
জাহাজ কোম্পানি জানায়, এই চার জাহাজে সয়াবিন তেল আমদানি করেছে সিটি গ্রুপ, মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ বা এমজিআই ও টিকে গ্রুপ। এর মধ্যে টিকে গ্রুপের ২৫ হাজার টন, সিটি গ্রুপের ২০ হাজার টন ও মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের ৭ হাজার টন সয়াবিন তেল রয়েছে।