ভোলার দৌলতখানের নিখোঁজ ব্যবসায়ী মোশারেফ হোসেনকে দুইদিন পর অচেতন অবস্থায় চরফ্যাশন বাজার থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। তবে খোয়া গেছে তার সাথে থাকা নগদ এক লাখ টাকা। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার ২০ জানুয়ারি ভোলা থেকে বাসযোগে দৌলতখানের বাড়ি আসার পথে। মোশারেফ হোসেন জানায়, ব্যবসায়ীক কাজে সে সোমবার বাড়ি থেকে ভোলা যায়। দুপুর দুইটার দিকে সে ভোলা থেকে বাড়ির উদ্দেশ্যে দৌলতখানের যাত্রীবাহী বাসে ওঠে। বাসে দুই সিটের একটিতে আগে থেকে অন্য একজন অপরিচিত যাত্রী বসা ছিল। চলন্ত বাসটি ভোলার ঘুইংগার হাট এসে পৌছলে দুইজন যাত্রী এসে তার সিট গেসে দাঁড়িয়ে হাতে রাখা টাকা গুণ ছিল। এরপরেই সে অচেতন হয়ে বাসের সিটে ঢলে পড়ে। দৌলতখান রুটের বাসটি বাংলাবাজার আসলে সম্ভবত দুই - তিনজনে মিলে তাকে অচেতন অবস্থায় বাস থেকে নামিয়ে চরফ্যাশনের বাসে তোলে তাকে নিয়ে যায়। চরফ্যাশনের বাসটি কর্তার হাটের বাস স্টেশনের কিছুদূর পর এসে পৌঁছলে বাস থেকে তারা তাকে নামায়। সেখান থেকে ব্যাটারি চালিত একটি অটো রিক্সায় তাকে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। সন্ধ্যার পর তাকে নির্জন বিলের ভিতর টং ঘরে নিয়ে চোখ মুখ বেঁধে রেখে তারা। আত্মীয়-স্বজনের মোবাইল নম্বর ও আরো টাকার জন্য রাতভর নির্যাতন ও মারপিট করে ।
এদিকে মোশারফের পরিবার কোথাও তার খোঁজ না পেয়ে একদিন পর নিখোঁজ মোশারেফের ভাই টিপু মঙ্গলবার একুশে জানুয়ারী সকালে দৌলতখান থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। ডায়েরি নং - ৯১৮। পরে নিখোঁজ মোশারফের মোবাইলের লোকেশনধরে দুইদিন পর তাকে চরফ্যাশন বাজার থেকে উদ্ধার করে ভাই টিপু, মিলন, রাসেল ও ভাতিজা সোহান। তারা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে চরফ্যাশন হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে। পরে রাতে তাকে দৌলতখানের বাড়ি নিয়ে আসে। সোহান জানায়, মোবাইলের লোকেশন ধরে আমরা তার খোঁজে চরফ্যাশন বাজারে গিয়ে দেখি বাজারের পূর্ব পাশে অচেতন অবস্থায় এলোমেলো ভাবে রাস্তায় সে হাঁটছে। অসুস্থ মোশারেফ জানায়, কিভাবে কি করে তারা অচেতন করে ১ লাখ টাকাসহ আমাকে নিয়ে গেছে আমি জানিনা। আমার মাথায় এখনো কোন কিছু কাজ করে না। ওরা আমাকে নিয়ে চোখ মুখ বেঁধে রেখে আমার ভাই ও আত্মীয়-স্বজনের নাম্বার চেয়েছিল। মাথায় কলার ডগা দিয়ে অনেক আঘাত করেছে। দুইদিন পর আমাকে নিয়ে চরফ্যাশনের জ্যাকব টাওয়ারের কাছে গিয়ে আমার নামে বিকাশের দোকান থেকে একটি সিম কিনে তারা। পরে আমাকে রাস্তায় ছেড়ে দিয়ে তিনজনে মিলে আমার আশপাশে ও পিছু হাঁটছিল। ভাতিজা সোহান যখন আমাকে দেখে ডাক দিয়ে আমার কাছে যায় তখন তারা আমার কাছ থেকে কেটে পড়ে। বৃহস্পতিবার ২৩ জানুয়ারি অসুস্থ মোশারেফকে চিকিৎসার জন্য ভোলা মেয়া হয়েছে। তবে ঢাকা নেয়া হতে পারে জানিয়েছেন তা পরিবার । মোশারফের বাড়ি উপজেলার চরখলিফা ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডে।