কলারোয়ায় পাওনা টাকা চাওয়ায় ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার হোসেন তুরানকে পিটুনি, ৩৫ দিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেলেন তিনি। গত মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) কলারোয়া উপজেলার গোয়ালচাতর গ্রামের নিজ বাড়িতে তার মৃত্যু হয়। তিনি ওই গ্রামের মৃত আবদুল হামিদ সরদারের ছেলে। তুরানের চাচা আবদুর রশিদ সরদার এ প্রতিবেদককে জানান, গত ১২ ফেব্রুয়ারি রাত ৮টার দিকে তুরান উপজেলার কাজীরহাট বাজারের মাংস ব্যবসায়ী মনিরুল ইসলামের দোকানে পাওনা টাকা চাইতে যান। এসময় মনিরুল টাকা দিতে টালবাহানা শুরু করলে দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে বাজারের লোকজন এসে তাদের থামিয়ে দেন। কিন্তু কিছুক্ষণ পর তুরানের দোকানের সামনে গিয়ে ইট দিয়ে তুরানের মাথায় আঘাত করেন মাংস ব্যবসায়ী মনিরুল। এতে তুরান গুরুতর জখম হন এবং মাটিতে পড়ে যান। বাজারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। আবদুর রশিদ সরদার আরও জানান, মাথায় আঘাত পাওয়ার পর তুরান ২৪ ফেব্রুয়ারি রাত ১১টার দিকে স্ট্রোক করেন। তাৎক্ষণিকভাবে তাকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তাকে খুলনা সিটি হাসপাতালে স্থানান্তর করে মাথায় অস্ত্রোপচার করা হয়। সেখান থেকে বাড়ি আসার পর মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মৃত্যু হয় তার। এবিষয়ে মাংস ব্যবসায়ী মনিরুলের ব্যবসায়িক অংশীদার মফিজুল ইসলাম ও কাজীরহাট বাজারের কাঁচামাল ব্যবসায়ী আসানুর রহমান বলেন, মনিরুলের কাছে টাকা পাওনা নিয়ে তাদের দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। তুরান স্ট্রোক করে মারা গেছেন বলে শুনেছি। মনিরুল উপজেলার কেরালকাতা ইউনিয়নের কাউরিয়া গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে।সে একজন মাংস ব্যবসায়ী। কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ সামসুল আরেফিন জানান, এ ঘটনায় একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।