৭২ ঘন্টার আলটিমেটাম শেষ হলেও পটুয়াখালীর কলাপাড়ার পায়রা তাপ বিদ্যুৎ নির্মাণে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের আট দফা দাবি বাস্তবায়ন না হওয়ায় আবারও সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেছে শতশত নারী পুরুষ। এসময় তাদের দাবি অগ্রাহ্য করলে আগামীতে বিদ্যুৎ কেন্দ্র ঘেরাওয়ের আলটিমেটাম দেয় আন্দোলনকারীরা। বৃহস্পতিবার বিকাল চারটায় পায়রা বিদ্যুৎ কেন্দ্রগামী লোন্দা বাজার সড়কে এ অবস্থান ধর্মঘট ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। দুই ঘন্টা ধর বিক্ষোভ চলাকালীন যে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে এজন্য সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যরা বিদ্যুৎ কেন্দ্রগামী সড়কের দুই পাশে কঠোর অবস্থাম নেয়। বিক্ষোভে অংশ নেয়া ক্ষতিগ্রস্থ্য পরিবারের সদস্যরা বলেন, তাদের জমি অধিগ্রহণের সময় প্রতি পরিবার থেকে যোগ্যতা অনুযায়ী একজনকে বিদ্যুৎ কেন্দ্রে চাকুরী দেয়ার প্রতিশ্রুতি ছিলো। কিন্তু তা না করে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক এ এম খোরশেদুল আলম ও প্লান্ট ম্যানেজার শাহ আব্দুল মাওলা অন্য এলাকার মানুষকে চাকুরী দিয়েছে। কলাপাড়ার ৫ ভাগ ক্ষতি গ্রস্থ্য পরিবারের সদস্যও চাকুরী পায়নি। তাই অবিলম্বে তাদের আট দফা বাস্তবায়নের দাবি জানান। আট দফা দাবি বাস্তবায়ন কমিটির সমন্বয়ক রবিউল আউয়াল অন্তর জানান, গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের সদস্যরা লাগাতার আন্দোলন করে আসছে। কিন্তু তাদের দাবি পূরন না করে উল্টো হয়রানি করছে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্লান্ট ম্যানেজার। তাই জরুরী ভিত্তিতে তাদের দাবি পূরন না হলে গ্রামবাসীদের সাথে নিয়ে পায়রা বিদ্যুৎ কেন্দ্র ঘেরাও করা হবে বলে আলটিমেটাম দেন। পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিভিন্ন দূর্নীতি ও সম্পদ লুটের সাথে জড়িতদের গ্রেফতার, সকল অবৈধ নিয়োগ বাতিল, ভূমি অধিগ্রহণকরা পরিবারকে জমির তিনগুন টাকা পরিশোধ, প্রতি পরিবার থেকে একজন করে চাকুরী প্রধানসহ আট দফা দাবিতে গত আন্দোলন করে আসছে কলাপাড়ায় বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে ক্ষতিগ্রস্থ্য পরিবারের সদস্যরা।