ইমরান খানের ডাকা ‘চূড়ান্ত বিক্ষোভ’ কর্মসূচি ঘিরে সহিংসতার ঘটনায় ইমরান ও তার স্ত্রী বসরাসহ পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) পার্টির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ৮মামলা করেছে পাকিস্তান সরকার।
বুধবার পিটিআইয়ের কেন্দ্রীয় মিডিয়া সেলের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিক্ষোভ কর্মসূচি স্থগিত ঘোষণা পর বৃহস্পতিবার এ মামলাগুলো করা হয়। রাজধানী ইসলামাবাদের শাহজাদ টাউন, সিহালা, খান্না, শামস কলোনি, নূন, নিলোর, তার্নল এবং বানিগালা থানায় করা হয়েছে এসব মামলা।
দলের স্থানীয় নেতৃত্ব ছাড়াও হাজার হাজার ব্যক্তির নাম রয়েছে আসামির তালিকায়। তাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদ, পুলিশের ওপর হামলা ও সরকারি কাজে বাধা প্রদানসহ ১৪৪ ধারা লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ দেশকে আন্দোলনের রাজনীতি থেকে মুক্ত করতে এবং স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে কঠোর সিদ্ধান্ত নেয়ার আহ্বান জানানোর কয়েক ঘণ্টা পরই পুলিশ মামলার পদক্ষেপ নেয়।
বুধবার ফেডারেল মন্ত্রিসভার বৈঠকে ভাষণ দেয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে আমরা পাকিস্তানকে রক্ষা করব নাকি উসকানিমূলক রাজনীতিকে প্রশ্রয় দেবো।’
এর আগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও দলের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ইমরান খানের মুক্তি, সরকারের পদত্যাগ এবং সংবিধানের ২৬তম সংশোধনী বাতিলের দাবিতে গত ২৪ নভেম্বর ইসলাসাবাদ অভিমুখে রওনা দেন পিটিআইয়ের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা। ২৭ নভেম্বর মঙ্গলবার তারা ইসলামাবাদের গুরুত্বপূর্ণ এলাকা ডি-চকে এসে পৌঁছে বিক্ষোভ-প্রতিবাদ শুরু করেন।
এই বিক্ষোভ কর্মসূচিকে ঘিরে উত্তাল হয়ে পড়ে দেশটির বিভিন্ন শহর। রাস্তায় নেমে আসা হাজারো সমর্থকদের সাথে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের ব্যাপক সহিংসতার খবর পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার বিক্ষোভকারীদের হামলায় নিরাপত্তা বাহিনীর চার সদস্যসহ পাঁচজন নিহত হয়েছে।
পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহসীন নকবি এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘ইসলামাবাদের কেন্দ্রস্থলে বিক্ষোভকারীদের হামলায় আধা-সামরিক বাহিনীর চার সদস্য নিহত হয়েছে।’