বিরলে আসহাবুস সুফফা বালিকা মাদ্রাসা ও নূরানী একাডেমীর পরিচালক ধর্ষণের অভিযোগে শ্রীঘরে (জেলহাজতে) রয়েছে। ২৭ (এপ্রিল) রোববার রাতে উপজেলার ৩ নং ধামইড় ইউনিয়নের ঢেরাপাটিয়া বাজার সংলগ্ন মাদ্রাসা থেকে ভিকটিম উদ্ধারসহ অভিযুক্ত ওই পরিচালককে আটক করে পুলিশ। আটককৃত পরিচালক হাফেজ মাওলানা মোঃ আবু বাকার সিদ্দিক (৩৫) উপজেলার ১১নং পলাশবাড়ী ইউনিয়নের বাগডাঙ্গা গ্রামের মৃত মোজাহারুল হক এর ছেলে।
ভিকটিমের মা থানার এজাহারে জানায়, আসহাবুস সুফফা বালিকা মাদ্রাসা ও নূরানী একাডেমীতে আমার মেয়ে শিক্ষিকা হিসাবে চাকুরী করাসহ উক্ত মাদ্রাসার আবাসিক রুমে অন্যান্য ছাত্রীদের সাথে বসবাস করে আসছিল। মাদ্রাসার পরিচালক আবু বাকার সিদ্দিক তাহার স্ত্রীসহ উক্ত মাদ্রাসার পশ্চিম ভিটার পূর্ব দুয়ারী বিল্ডিং ঘরে বসবাস করে। গত ২৬ এপ্রিল (শনিবার) সকাল আনুমানিক ৬ টায় আসামীর স্ত্রী বিবাহের দাওয়াত খাওয়ার জন্য মাদ্রাসার বাহিরে যায়। এরই সুযোগে বিকাল আনুমানিক ৪ টায় ভিকটিম (১৭) মাদ্রাসায় ছাত্রীদের পাঠদান শেষে উক্ত মাদ্রাসার পশ্চিম ভিটার পূর্ব দুয়ারী বিল্ডিং ঘরে শুয়ে থাকা অবস্থায় পরিচালকের স্ত্রী মাদ্রাসায় না থাকার সুযোগে ঘরে প্রবেশ করে ভিকটিমকে ডেকে তার পশ্চিম ভিটার পূর্ব দুয়ারী বিল্ডিং ঘরে (আসামীর শয়ন ঘরে) নিয়ে যায়। তারপর মাদ্রাসার পরিচালক ভিকটিম কে আইসক্রিম খেতে বলে খেতে রাজী না হওয়ায় জোরপূর্বক তার মুখে থাকা নেকাপ টেনে উপরে তুলে জোরপূর্বক আইসক্রিম খাইয়ে দেয়। আইসক্রিম খাওয়ার পর ভিকটিমের মাথা ঘুরতে থাকে। তখন ভিকটিমের মুখ ওড়না দিয়ে বেঁধে বিবস্ত্র করে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ধর্ষণ শেষে আসামী ঘটনার বিষয়ে কাউকে বলতে নিষেধ করে ভিকটিমসহ অন্যান্য আবাসিক ছাত্রীদেরকে মাদ্রাসার ভিতরে রেখে বাহির হতে তালাবদ্ধ করে চলে যায়। যার ফলে কেউ বাহিরে বাহির হতে পারে নাই এবং ভিতরে কোন মোবাইল ফোন না থাকায় কোথাও সংবাদ দিতে পারেনাই। গত ২৭ এপ্রিল/২০২৫ বিকালে ভিকটিম গোপনে ঘটনার কথা উক্ত এক অভিভাবককে জানালে তিনি মোবাইল ফোনে আমাকে বিস্তারিত জানায়। খবর পেয়ে ওই অভিভাবকসহ মাদ্রাসায় গিয়ে ভিকটিমকে উদ্ধার করে স্থানীয় লোকজনকে বিষয়টি অবগত করলে স্থানীয় লোকজন পরিচালককে আটক করে থানায় সংবাদ দিলে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ভিকটিমকে উদ্ধার করে অভিযুক্ত পরিচালককে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
ঘটনায় ধর্ষিতার মা বাদী হয়ে ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন-২০০৩) আইনের ৯ (১) ধারায় বিরল থানায় একটি মামলা দায়ের করে।
এ ব্যাপারে বিরল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আব্দুস ছবুর বলেন, ধর্ষিতার মা বাদী হয়ে মামলা করেছেন। ভিকটিমের ডাক্তারী পরীক্ষা শেষে পরিবারের নিকট হস্তান্তর এবং আসামীকে আদালতে সোপর্দ করা হলে বিচারক তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করেছে।