মায়ের আঁচল বাবার হাত কখনো ছাড়বেনা : ওবায়দুল হক

এফএনএস (আবুল খায়ের; দৌলতখান, ভোলা) : : | প্রকাশ: ২০ জানুয়ারী, ২০২৫, ০৮:৩১ পিএম : | আপডেট: ২০ জানুয়ারী, ২০২৫, ১১:৩১ পিএম
মায়ের আঁচল  বাবার হাত কখনো ছাড়বেনা  : ওবায়দুল হক

ভোলার দৌলতখান সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আলোকিত মানুষ হওয়ার স্বপ্ন দেখালেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক মো. ওবায়দুল হক। সপ্তম শ্রেণী থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত প্রতিটি শ্রেণি কক্ষে ঢুকে তিনি শিক্ষার্থীদের সাথে কুশল বিনিময় ও পরিচয় দিয়ে শিক্ষার্থীদেরকে আগামী দিনের সোনালী স্বপ্নে বড় হওয়ার কথা বলেন। শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন তোমরা কখনো মায়ের আচল এবং বাবার হাত ছাড়বে না। কখনো রাগ হয়ে বাবা মায়ের সাথে খারাপ আচরণ করবে না।  শিক্ষকদেরকে পরম শ্রদ্ধার সাথে সম্মান করবে। গুরুজন এবং মুরুব্বিদেরকে যথাযথ সম্মান জানাবে। তবেই তোমরা একদিন বড় হবে। দেশ ও জাতির কল্যাণে সহযোগিতা করতে পারবে। পড়ালেখায় মনোযোগী হবে। মোবাইল ফেসবুকে আসক্ত না হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। তিনি আরও বলেন   মেধা সকল শিক্ষার্থীদের মধ্যেই আছে। তবে সেটা লেখাপড়ার মনোনিবেশের মধ্যেই প্রস্ফুটিত হয়। যে যত পাঠে সময় দেবে ততই তার মেধা বিকশিত হবে। আলোকিত মানুষ হওয়ার বিভোর স্বপ্নে তোমাদেরকে কষ্ট করে পড়ালেখা করতে হবে। তবেই একদিন আমার চেয়ে অনেক অনেক বড় হবে। রোববার ২০ শে জানুয়ারি তিনি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের শ্রেণি কক্ষে ঘুরে ঘুরে এসব উপদেশ ও পরামর্শ দেন। শিক্ষার্থীদেরকে পড়ালেখায় আগ্রহী ও  উৎসাহ দিতে তিনি বিদ্যালয়ের বিভিন্ন শ্রেণির মেধাবী শিক্ষার্থীদের কে  নিজের ব্যক্তিগত তহবিল থেকে নগদ বৃত্তি প্রদান করেন।  এসময় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সনজিব কুমার হালদার, সিনিয়র সহকারি শিক্ষক হাবিব উল্লাহ হাবিব,  সহকারী শিক্ষক  সাখাওয়াত হোসেন সোহাগ, সাবেক চেয়ারম্যান সাইদুল হক খোকন, সমাজসেবক শামসুল আলম ও জগলুল পাশা সহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।  ওবায়দুল হক ১৯৭৮ ব্যাচের একজন কৃতি শিক্ষার্থী। দৌলতখান সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে তিনি  (মেট্রিক) এসএসসি পাস করেন। এসএসসি পাসের পর এই সর্বপ্রথম তিনি বিদ্যালয়ে গিয়ে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সাথে পরিচিত হন। আগামী বছর থেকে প্রতি বছর বিদ্যালয়ের মেধাবী শিক্ষার্থীদেরকে বৃত্তি প্রদান করা হবে। তবে  বৃত্তির পরিমাণ আরও বাড়িয়ে দিবেন বলে তিনি জানান। শ্রেণিকক্ষে পাঠদানে বিদ্যালয়ের  ভালো  শিক্ষকদেরকেও তিনি সম্মানী প্রদান করবেন বলে ঘোষণা  করেন। মো. ওবায়দুল হক ভোলার দৌলতখান উপজেলার সৈয়দপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা। উপজেলার গুপ্তগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তিনি শিক্ষা জীবন শুরু করেন। দৌলতখান  সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করেন। পরে ঢাকা কলেজ থেকে এইচ এসসি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ম্যানেজমেন্টে অনার্স ডিগ্রী লাভ করে বাংলাদেশ ব্যাংকে সহকারী পরিচালক পদে যোগদান করেন। ২ হাজার ২৩ সালের শেষের দিকে তিনি বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক পদ থেকে  অবসর গ্রহণ করেন। 

0 LIKE
0 LOVE
0 LOL
0 SAD
0 ANGRY
0 WOW
আপনার জেলার সংবাদ পড়তে