কোথায়, কখন ও কোন গ্রামে বাল্যবিবাহ হচ্ছে,তা খুঁজে বের করা এবং কিভাবে,কার সহযোগিতা নিয়ে বাল্যবিবাহ বন্ধ করতে হবে। এমন একজন প্রতিবাদী কন্ঠস্বর জাহিদুল (২৪)। কুড়িগ্রামের চর রাজিবপুর উপজেলার রাজিব পুর সদর ইউনিয়নের আজগর দেওয়ানী পাড়া গ্রামের যুবক তিনি। গতকাল বিকেলে কথা হয় তার সাথে। কথা বলে জানা গেছে বাল্যবিবাহ বন্ধের নানা কৌশল। দিন মজুর মোসলেম উদ্দিন এর পুত্র জাহিদুল।সে ঢাকায় একটি বে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী। তিন ভাই বোনের মধ্যে তিনি বড়। কষ্টের মাঝেও ৩ ভাই বোন পড়ালেখা চালিয়ে যাচ্ছে। তার ছোট ভাই আল আমিন ডিগ্রি ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী, ছোট বোন মোর্শেদা আক্তার মীম অষ্টম শ্রেণীতে পড়ালেখা করছে। নানা প্রতিকূলতা ও কষ্টের মাঝেও পড়াশোনার পাশাপাশি তিনি সামাজিক উন্নয়ন মূলক কাজের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। বর্তমান তিনি রাজিব পুর আদর্শ যুব সংগঠনের সভাপতি হিসেবে সক্রিয় ভাবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি উপজেলা যুব প্লাটফর্ম, জেলা যুব প্লাটফর্ম, ইউনিয়ন বাল্যবিবাহ নিরোধ কমিটি ও উপজেলা বাল্যবিবাহ নিরোধ কমিটি একজন সম্মানিত সদস্য। তিনি অত্যন্ত সাহসিকতার পরিচয় দিয়ে এলাকার বাল্যবিবাহ বন্ধে জনসচেতনতা মূলক অনেক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন। তিনি যেখানে বসবাস করেন, উপজেলা শহর থেকে বিচ্ছিন্ন। সেহেতু তার এলাকার তিনি নেতৃত্বে প্রদান করে ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে শিশুদের জন্মনিবন্ধন করতে সহযোগিতা করেন। তার এলাকার ৪০টি শিশুর জন্মনিবন্ধন করতে সমর্থ হয়েছেন তিনি। গ্রামের ঝুঁকি পূর্ণ ৮১জন শিশু চিহ্নিত করে বিভিন্ন দপ্তরে যোগাযোগ করে সহায়তা প্রাপ্তিতে সহযোগিতা করেছেন নিঃস্বার্থভাবে। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্কুল পর্যায়ে বিতর্ক, কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে থাকেন। তাদের মাঝে শিক্ষা উপকরণও বিতরণ করেছেন। তিনি বিভিন্ন সময়ে বিশেষ করে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তার সংগঠনটিকে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর থেকে রেজিস্ট্রেশন পেয়েছে। তিনি বলেন চাইল্ড নট ব্রাইড (সিএনবি) প্রকল্পটি নরওয়েজিয়ান ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশন এনআরকে)টেলিথন এবং প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ এর আর্থিক ও কারিগরি সহায়তায় স্থানীয় সহযোগী সংস্থা আরডিআরএস বাংলাদেশ এর মাধ্যমে অনুপ্রাণিত হয়ে সামাজিক কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি আশা করছেন প্রকল্পটি মেয়াদ বৃদ্ধি পেলে ২০২৫ইং সালের মধ্যে তার ইউনিয়ন ও উপজেলাকে বাল্যবিবাহ মুক্ত করতে পারবেন।