ভোলার লালমোহন উপজেলা বদরপুর ইউনিয়নের ০৭নং ওয়ার্ডে পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে ৬ জনকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারী) সকাল সাড়ে ১০টার সময় লালমোহন উপজেলার বদরপুর ইউনিয়নের নাজিরপুর টাওয়ার সড়কের চৌরাস্তায় এ ঘটনা ঘটে।
এবিষয়ে ভুক্তভোগী মো. মাসুদ মুন্সি অভিযোগ করে বলেন, আমার ছেলে লিমনের সাথে ইরি স্কিমের টাকা নিয়ে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে অভিযুক্তরা সকলে একত্রিত হয়ে আমার ছেলে নিলমনের উপর অতর্কিত হামলা করে লিমনকে বাঁচাতে গেলে ফরহাদ পরান, আব্বাস মোল্লা, সিদ্দিক চকিদার, আবুল কালাম আজাদ, শাখাওয়াত মৃধাসহ এদেরকে দেশিয় দাড়ালো অস্ত্র দিয়ে হামলা করে একই এলাকার শরীফ, জামাল মোল্লা, রুবেল, নোমান মোল্লা, আরিফ, জামসেদ মোল্লা, জামাল খা সহ একাধিক বহিরাগত লোক নিয়ে তাদেরকে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। তাদের ডাক চিৎকার শুনে এলাকার লোকজন এসে তাদেরকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে, পরে লিমন নামের একজনের অবস্থা আশঙ্কা জনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজে রেফার্ড করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি চলে যায়।
তিনি আরও বলেন, তাহারা পরবিত্তলোভী, জুলমবাজি, মাদক সেবনকারী। তাহারা আইন ও বিচার সালিশ ব্যবস্থা তোয়াক্কা করে না। তাহারা একত্রিত হয়ে আমাদের নাজিরপুর লঞ্চ ঘাট, মাছ ঘাটসহ এলাকার মধ্যে বিভিন্ন ধরনের অপকর্মের সাথে জড়িত। তাদের অপকর্মের প্রতিবাদ করলে তাহারা একত্রিত হয়ে লাঠি সোঠা নিয়ে ঝাপিয়ে পরে। তাদের ভয়ে কেহ মুখ খোলে না। আমরা উক্ত ঘটনার ন্যায় বিচার ও তাদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি চাই।
এবিষয়ে অভিযুক্তদের কাছে যোগাযোগ করতে গেলে তাদেরকে না পাওয়ায় তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
লালমোহন থানার অফিসার ইনচার্জ মো.সিরাজুল ইসলাম জানান, এঘটনায় মামলা হয়েছে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, বাকিরা পলাতক তাদেরকে ধরার চেষ্টা অব্যাহত আছে।