চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলার মনিপুর গ্রামের প্রবাসী আবুল হোসেন মানিকের বাসার ছাদে দিনমজুর আলমগীর হোসেন (৩৫) কে জবাই করে হত্যা করার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই হত্যার রহস্য উন্মোচন করেছে শাহরাস্তি থানা পুলিশ।
সোমবার রাতেই জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে বাড়ির মালিক প্রবাসী মানিকের স্ত্রী খোদেজা বেগম ও তার মেয়ে আলমগীরের পরকীয়া প্রেমিকা মাহমুদা আক্তার সোনিয়াকে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। এরপর ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের পর সোনিয়া এ হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করে।
সোনিয়া জানায়, আলমগীরের সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। তবে আলমগীর তাকে নানা সময়ে শারিরীক সম্পর্কের জন্য উত্যক্ত করতো। এই ক্ষোভের কারণেই আলমগীরকে হত্যা করেছি। হত্যায় ব্যবহৃত ছুরিটি ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ উদ্ধার করেছে।
সোনিয়া জানায়, উপজেলার চিতোষী বাজার থেকে ১২ টাকায় হত্যায় ব্যবহৃত ছুরিটি কেনা হয়। সেই ছুরি দিয়েই এলোপাথাড়ি ভাবে আলমগীরকে আঘাত করে হত্যা করা হয়।
আলমগীরের স্ত্রী তাছলিমা বেগম জানান, আমার স্বামী সোনিয়ার কাছে ১২ লক্ষ টাকা পাবে। টাকা দিবে বলে সোনিয়া ফোন করে আমার স্বামীকে বাসায় নিয়ে খুন করে। সোনিয়া উক্ত ঘটনায় নিজে দায় স্বীকার করলেও এ হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত কারো সম্পৃক্ততা রয়েছে কিনা তা স্পষ্ট করেনি। কিন্তু ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধারকৃত মোবাইলে সূত্র ধরে পুলিশ ধারণা করছে, এ ঘটনায় আরও কেউ জড়িত রয়েছে।
উক্ত হত্যাকাণ্ডের সহযোগিতা করার অপরাধে সোনিয়ার মা খোদেজা বেগম (৫০)কে পুলিশ আটক করেছে। এদিকে আলমগীরের বড়ো ভাই রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। শাহরাস্তি থানা পুলিশ মা ও মেয়েকে চাঁদপুর কোর্টে প্রেরণ করেছে।
এ বিষয়ে চাঁদপুরের শাহরাস্তি মডেল থানার ওসি আবুল বাসার জানান, আলমগীর হোসেনের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্যে প্রেরণ করা হয়েছে । উক্ত ঘটনায় প্রবাসী আবুল হোসেনের স্ত্রী ও মেয়েকে আটক করে কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে। আদালতে আসামীর ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত অন্যদের আটক অভিযান অব্যাহত রয়েছে।