হ্যামিল্টনের সেডন পার্কে টসে জিতে আগে নিউজিল্যান্ডকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় ইংল্যান্ড। দুই ওপেনার টম ল্যাথাম এবং উইল ইয়ংয়ের ব্যাটে চড়ে ভালো শুরু পায় কিউইরা। সাবলীল ব্যাটিংয়ে এগিয়েছেন দুই ওপেনার। উদ্বোধনী জুটিতে ইয়ং এবং ল্যাথামের ব্যাট থেকে চলে আসে ১০৫ রান। ফিফটির খুব কাছাকাছি গিয়ে ফিফটির আগেই বিদায় নেন ইয়ং। ৯২ বলে ৪২ রানের ইনিংস খেলে বিদায় নেন তিনি। তবে ল্যাথাম ঠিকই ফিফটি ছুঁয়েছে। দলের ১৪২ রানের মাথাতে আউট হওয়ার আগে ১৩৫ বলে ৬৩ রানের ইনিংস খেলেন ল্যাথাম। এরপর কেইন উইলিয়ামসন এবং রাচিন রবীন্দ্র ব্যাটে চড়ে আগাতে থাকে ইনিংস। রাচিন যদিও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। দলের ১৭২ রানের মাথায় ২৫ বলে ১৮ রান করে বিদায় নিয়েছেন রাচিন রবীন্দ্র। দারুণ খেলতে থাকা উইলিয়ামসন ফিফটির পথেই ছিলেন। কিন্তু ফিফটির আগেই সাজঘরের পথ ধরতে হয়েছে তাকেও। ৮৭ বলে ৪৪ রান করে আউট হয়েছেন উইলিয়ামসন। এরপর দ্রুত ড্যারিল মিচেল, গ্লেন ফিলিপস এবং টম ব্লান্ডেলের উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে যায় নিউজিল্যান্ড। মিচেল ৩২ বলে ১৮, ফিলিপস ১০ বলে ৫ এবং ব্লান্ডেল খেলেছেন ২৯ বলে ২১ রানের ইনিংস।শেষ দিকে দলের হাল ধরেন মিচেল স্যান্টনার। এক প্রান্ত ধরে রেখে আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে দলের রান বাড়াতে থাকেন তিনি। স্যান্টনারের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ের সুবাদেই ৩০০ পার করে নিউজিল্যান্ড। শুরুতে তাকে সঙ্গ দেন ম্যাট হেনরি। যদিও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি হেনরি। ২০ বলে ৮ রানের ইনিংস খেলে দলের ২৭২ রানের মাথাতে বিদায় নেন ম্যাট হেনরি। পরে ক্রিজে আসেন বিদায়ী ম্যাচ খেলতে নামা টিম সাউদি। ধুমধাড়াক্কা ব্যাটিংয়ে ১০ বলে ২৩ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলে সাজঘরে ফিরে যান সাউদি। তবে স্যান্টনারকে ফেরানো যায়নি। দিনের খেলা শেষ হওয়া পর্যন্ত ক্রিজে টিকে ছিলেন তিনি, ফিফটি ছুঁয়েছেন, দলকেও পার করিয়েছেন ৩০০ রানের কোটা। ৫৪ বলে ৫০ রান করে প্রথম দিনের খেলা শেষে অপরাজিত আছেন স্যান্টনার। আরেক প্রান্তে ২ বলে ০ রান করে টিকে আছেন উইলিয়াম ও’রউরকে। প্রথম ইনিংসে ৮২ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ৩১৫ রান তুলে প্রথম দিনের খেলা শেষ করেছে নিউজিল্যান্ড। ইংল্যান্ডের হয়ে ৩টি করে উইকেট শিকার করেছেন ম্যাথু পটস এবং গাস অ্যাটকিনসন। এছাড়া ২ উইকেট নেন ব্রাইডন কার্স। ১ উইকেট তোলেন বেন স্টোকস। দুই দলের মধ্যকার তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজের তৃতীয় এবং সর্বশেষ ম্যাচ এটি। সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচ জিতে ইতোমধ্যে সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে আছে ইংলিশরা।