জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম বলেছেন, আমরা জীবনের সব টুকু দিয়ে চেষ্টা করে যাচ্ছি আমরা যে স্বপ্ন নিয়ে যে স্পিরিট নিয়ে দেশের জন্য রক্ত দিলাম জীবন দিলাম সেটার জন্য কাজ করে যাওয়ার। আমাদের মাথায় সব সময় কাজ করে শহীদ পরিবার ও আহত যোদ্ধাদের কথা। খুনি হাসিনা এবং তার দোসররা সবদিক দিয়ে চেষ্টা করছে আমরা যেন সফল না হই। কোনভাবে যদি আমরা ব্যর্থ হই কারো অস্তিত্ব খুনি হাসিনা রাখবে না। ৫ আগস্টে এমন অনেক শহীদ পরিবার রয়েছে যাদের দাফন করতে দেয়া হয় নাই, তাদের বাড়িতে থাকতে দেয়া হয় নাই। তাদের হয়রানি করা হয়েছে। এখন যদি খুনি হাসিনা আসে আবার একই কাজ করা হবে। সেই জায়গা থেকে আমাদের সকলের দায়িত্ব যে স্বপ্ন নিয়ে যে স্পিরিট নিয়ে অভূত্থান হয়েছে তাকে রক্ষা করা। আমরা আমাদের জায়গা থেকে সরকারের যেমন গঠনমূলক সমালোচনা করব একই ভাবে প্রশাসন থেকে শুরু করে সকলকে তাদের কাজে সহয়তা করব। শনিবার সকালে নগরীর টাউন হল তারেক স্মৃতি অডিটোরিয়ামে আয়োজিত ময়মনসিংহ বিভাগে ছাত্র-জনতা গণঅভ্যুত্থানের সময় শহীদ ৫৫ পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক আরো বলেন, যারা এই অভ্যূত্থানে রক্তাক্ত ঘটনাগুলোর সাথে হত্যা যজ্ঞের সাথে জড়িত ছিল, তাদের যথেষ্ট প্রমান রয়েছে, হোক ভিডিও ফুটেজ বা ছবি, তার যে পরিচয়ই হোক না কেন তাদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে। আমরা যদি মনে করি যে ছাত্রলীগ যুবলীগ আওয়ামীলীগ নেতা বা পুলিশের সদস্য ছিল, সে সরাসরি হত্যা যজ্ঞের সাথে জড়িত তার যথেষ্ট প্রমান রয়েছে, তারপরেও তার পরেও তাকে কিছু করা রিস্কি, তাহলে আমরা সরি, আমরা মনে করি আপনি এই অভ্যূত্থানের স্প্রিরিট ধারণ করেন না, তাহলে আপনি এই দায়িত্ব ছেড়ে অন্য জায়গায় যান। এসময় ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার ইউসুফ আলী, অতিরিক্ত ডিআইজি শরিফুর রহমান, জেলা প্রশাসক মুফিদুল আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শামীম হোসেনসহ শহীদদের পরিবারের সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।