ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিমকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শেখ ওমর ফয়জুল করিমকে তার বিতর্কিত বক্তব্যে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার অভিযোগ তুলে রেজিস্টার্ড ডাকযোগে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন। নোটিশটি পাঠানো হয়েছে দৈনিক আল ইহসান পত্রিকার প্রতিবেদক মুহম্মদ আরিফুর রহমানের পক্ষে।
শুক্রবার (১০ অক্টোবর) সকালে সাংবাদিকদের কাছে আইনজীবী শেখ ওমর জানিয়েছেন-বৃহস্পতিবার প্রেরিত নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে তিনদিনের মধ্যে ফয়জুল করিমকে সুস্পষ্ট বিবৃতি দিয়ে তার উল্লেখিত মন্তব্যগুলো প্রত্যাহার করতে হবে এবং নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে। ভবিষ্যতে ধর্ম অবমাননামূলক মন্তব্য আর করবেন না-এমন প্রতিশ্রুতি দিতে হবে। অন্যথায় আইনের আশ্রয় নেয়া হবে।
লিগ্যাল নোটিশে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, গত ৬ অক্টোবর ইউটিউবে ‘চরমোনাই দর্পণ’ চ্যানেলে পোস্ট করা একটি ভিডিও ক্লিপে দেখা গেছে-ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমির সৈয়দ ফয়জুল করিম পবিত্র কুরআন নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেন। সেই বক্তব্যে ফয়জুল করিম বলেছিলেন, ‘শুধু কুরআন কিচ্ছু না’ এবং ‘শুধু কুরআন কুরআন, এরমধ্যে শুভঙ্করের ফাঁকি’।
ফয়জুল করিমের এসব মন্তব্য পবিত্র কুরআনুল কারীমের মর্যাদা ও পবিত্রতার পরিপন্থি এবং মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানে। কুরআন একটি পূর্ণাঙ্গ ও স্বয়ংসম্পূর্ণ দিকনির্দেশনামূলক গ্রন্থ। যার প্রতি অবমাননাকর মন্তব্য করা বাংলাদেশের সংবিধান ও দন্ডবিধি অনুযায়ী দন্ডনীয় অপরাধ।
তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের বরিশাল জেলা শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত এক নেতা বলেন-দলের নায়েবে আমির সৈয়দ ফয়জুল করিম হুজুর বলেছিলেন পবিত্র কুরআন শরীফের সাথে সাথে নবী রাসুলকেও মানতে হবে ইত্যাদি। একটি মহল হুজুরের (নায়েবে আমির) বক্তব্য কেটে কেটে বিভিন্ন মাধ্যমে পোস্ট করায় বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে।