নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন সোমবার সকাল সাড়ে ৯টায় চট্টগ্রামের লালদিয়া কনটেইনার টার্মিনাল উদ্বোধনকালে বললেন, “বন্দর নিয়ে অনেকে অনেক কথা বলবে। উন্নতি করতে হলে প্রযুক্তি, টাকা পয়সার দরকার আছে। বন্দরকে ঘিরে চার-পাঁচ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ হবে। উন্নত দেশের বেশিরভাগ বন্দর অপারেটররা চালাচ্ছে। আমরা কেন পিছিয়ে যাবো। তাই আমরাও চেষ্টা করছি।”
তিনি বলেন, “যারা বিজনেস করে তাদের জন্য লালদিয়ার চর টার্মিনাল বড় সুযোগ। ১০ হাজার কনটেইনার রাখার ক্যাপাসিটি বাড়বে।”
ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, “দেশের স্বার্থের ক্ষতি করে কাউকে বন্দর অপারেশন করতে দেওয়া হবে না। ট্যারিফ বাড়ানোর আগে ব্যবসায়ীসহ বন্দরের সব স্টেক হোল্ডারদের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। শ্রমিকদের সঙ্গেও কথা বলেছি। এখন শ্রমিকরা বলছে তাদের সঙ্গে কথা হয়নি।”
‘১৯৮৪ সালের ট্যারিফ দিয়ে ৪০ বছর ধরে বন্দর চলছিল। ৪০ বছর পরে বন্দর তাদের ট্যারিফ হালনাগাদ করেছে। তারপরও যেহেতু ব্যবসায়ীদের অভিযোগ এসেছে সেটির বিষয়ে আমরা বন্দর কর্তৃপক্ষকে পর্যালোচনার অনুরোধ জানাবো’-উল্লেখ করেন নৌপরিবহন উপদেষ্টা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম মনিরুজ্জামান।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ১৪ একর জমিতে লালদিয়ার চর টার্মিনাল হয়েছে। ১৫০০ ট্রাক রাখার ক্যাপাসিটি আছে। হেভি লিফট কার্গো জেটি ব্যাকআপ থাকবে ৮ একর। এপিএম টার্মিনাল এরিয়া ১০ একর।
এরপর উপদেষ্টা বে টার্মিনাল এলাকায় পরিবহন টার্মিনাল, তালতলা কনটেইনার ইয়ার্ড (ইস্ট কলোনি সংলগ্ন) উদ্বোধন এবং এক্সওয়াই শেড ও কাস্টমস অকশন শেড পরির্দশন করবেন।