বিরোধপূর্ণ জমির ধান কাটাকে কেন্দ্র বাগেরহাটের চিতলমারী ও পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর উপজেলা সীমান্তের গ্রামবাসির মধ্যে সংঘর্ষে আটজন আহত হয়েছেন। আহতরা হলেন- চিতলমারীর সন্তোষপুর ইউনিয়নের উমাজুড়ি গ্রামের শরিফুল মোল্লা (৩২), লিয়াকত মোল্লা (৫৫), মাসুম মোল্লা (৩০) এবং প্রতিপক্ষ নাজিরপুর উপজেলার মাটিভাঙ্গা ইউনিয়নের পশ্চিমবানিয়ারী গ্রামের নুপুর বিশ্বাস (২১), এমাদুল শিকদার (৪০), সমর বিশ্বাস (৪৫), বিদ্যুৎ বিশ্বাস (৩০) ও বিধান বিশ্বাস (৩০)। আহতদের চিতলমারী ও নাজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শতাধিক পুলিশ ঘটনাস্থলে রয়েছে। উভয়পক্ষের সংঘর্ষের সময় ঢাল-সড়কিসহ অন্যান্য দের্শীয় অস্ত্রে সজ্জ্বিত ছিল। বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার সন্তোষপুর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডে সদস্য কৃষ্ণপদ রায় জানান, শনিবার সকাল ১০টার দিকে নাজিরপুরের মাটিভাঙ্গা ইউনিয়নের পশ্চিমবানিয়ারী গ্রামের সমীর বিশ্বাস ও এমাদুল শিকদারের নেতৃত্বে শতাধিক গ্রামবাসি চিতলমারী উপজেলার উমাজুড়ি ও বানিয়ারী গ্রামের ধান কাটতে আসে। তাদের বাধা দিলে সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষে উমাজুড়ি গ্রামের লিয়াকত মোল্লার পুত্র শরিফুল (৩২), হাতেম আলীর পুত্র লিয়াকত মোল্লা (৫৫), সিরাজ মোল্লার পুত্র মাসুম (৩০)সহ বেশ কয়েকজন আহত হয়।
অপরপক্ষে, নাজিরপুর উপজেলার পশ্চিমবানিয়ারী গ্রামের সন্তোষ বিশ্বাসের পুত্র সমীর বিশ্বাস জানান, চিতলমারী উপজেলার উমাজুড়ি গ্রামবাসী তাদের প্রায় আড়াইশ’ বিঘা (স্থানীয়ভাবে ৮০ শতকে এক বিঘা) জমির ধান কেটে নেয়ার সময় বাধা দিলে তাদের গ্রামের সমর বিশ্বাসের মেয়ে নুপুর বিশ্বাস (২১), মোবারক শিকদারের ছেলে এমাদুল শিকদার (৪০), হরষিত বিশ্বাসের ছেলে সমর বিশ্বাস (৪৫), ভিষ্মদেব বিশ্বাসের ছেলে বিদ্যুৎ বিশ্বাস (৩০) ও বিধান বিশ্বাসকে (৩০)সহ আরো চারজনকে পিটিয়ে আহত করা হয়। আহতদের মধ্যে উভয় পক্ষের আটজনকে চিতলমারী ও নাজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
উত্তেজনাকর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে চিতলমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আবুসাঈদ, নাজিরপুরের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ মিজানুর রহমান, বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহাদাৎ হোসেন, পিরোজপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আহম্মেদ মাঈনুল হাসান, চিতলমারী থানার পরিদর্শক অনুকূল সরকারসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন।