খুলনা-৬ সংসদ সদস্য আক্তারুজ্জামান বাবু বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে উপকূলীয় অঞ্চলে বসবাস ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও পরিবেশগত কারণে এ অঞ্চলের মানুষ কঠিন প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে মৎস্য ও কৃষি ফসল উৎপাদন করে একদিকে জীবন-জীবীকা নির্বাহ করছেন। অপরদিকে এ অঞ্চলের উৎপাদিত চিংড়ি ও মৎস্য বিদেশে রপ্তানী করে প্রচুর পরিমাণে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হচ্ছে। তিনি মঙ্গলবার দুপুরে খুলনার পাইকগাছায় বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট লোনাপানি কেন্দ্রে আয়োজিত “চিংড়ি চাষে উদ্ভূত সমস্যা ও উত্তম চাষ ব্যবস্থাপনা” বিষয়ক দুইদিন ব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মসূচির সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। এমপি বাবু বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট ও লোনাপানি কেন্দ্রের গবেষণার বিভিন্ন সাফল্যের দিক তুলে ধরে বিজ্ঞানীদের উদ্দেশ্যে বলেন, জনবহুল দেশের পুষ্টি চাহিদা পূরণ ও বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে মৎস্য সম্পদ গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। বর্তমান সরকারের নানামুখী পদক্ষেপে মাছ উৎপাদনে বাংলাদেশ চতুর্থ স্থানে রয়েছে। এটি একা সরকারের পক্ষে সম্ভব হয়নি। বিজ্ঞানীদের উদ্ভাবিত নতুন নতুন প্রযুক্তি চাষীরা মাঠ পর্যায়ে প্রয়োগ করেছে। এজন্য প্রতি বছর মাছের উৎপাদন বাড়ছে।
লোনাপানি কেন্দ্র অডিটোরিয়ামে কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা সৈয়দ লুৎফর রহমানের সভাপতিত্বে প্রশিক্ষণের সমাপনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, নবনির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান গাজী মোহাম্মদ আলী, পৌর মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীর, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শিয়াবুদ্দীন ফিরোজ বুলু, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান লিপিকা ঢালী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. লতিফুল ইসলাম। ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা দেবাশীষ মন্ডলের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন, উপ-পরিচালক নিলুফা বেগম, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম রুবেল, মোল্লা এমএনএস মামুন সিদ্দিকী, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মকবুল হোসেন, চিংড়ি চাষী আনোয়ার ইকবাল মন্টু ও এম এম আজিজুল হাকীম। প্রশিক্ষণ শেষে এমপি বাবু লোনাপানি কেন্দ্রের নবনির্মিত কাঁকড়া হ্যাচারী ও কাঁকড়ার পোনা উৎপাদন কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।