একজন ভালো সবজি চাষী হিসেবে সবাই তাকে চেনেন। মৌসুমী যেকোন সবজি আবাদেই তার মনোনিবেশ। বিশেষ করে প্রজাতি ভিত্তিক আলাদা-আলাদা সবজি চাষাবাদে ভালো ফলনের কারনে তার দেখে সবজি চাষে লাভবান হয় গ্রাম ছাড়াও অন্যান্য এলাকার কৃষকরা। এমনই এক ভালো সবজি চাষীর নাম জাহিদুল ইসলাম। গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার বোনারপাড়া ইউনিয়নের পশ্চিমবাটি গ্রামে তার বাড়ি।
যে শস্য চাষাবাদে কঠিন হবে কিংবা এলাকার অন্যান্য কৃষক যা নিয়ে কখনোই ভাবেন নি- এমন চিন্তাই তার মাথায় আগে আসে বলে জানালেন, একই গ্রামের ইয়াকুব আলী। গ্রামের কৃষকরা বলেন, মৌসুমী যেকোন চাষাবাদে জাহিদুলের গভীর মনোযোগ ও অধিক পরিচর্যাই তার ভালো কৃষক হওয়ার মুল কারন। তবে প্রতিবছরই নতুন নতুন ফসল চাষে তার আগ্রহ থাকে বলে জানালেন, একই গ্রামের কৃষক রফিকুল ইসলাম। ধানের আবাদ লাভজনক না হওয়ায় প্রতিবার নতুন নতুন চাষাবাদ করলে বিগত দিনের ক্ষতি কাটিয়ে উঠে অধিক লাভবান হওয়া সম্ভব বলে মনে করেন তিনি। যে কারনেই এবার ঢেড়শ চাষাবাদে ঝুঁকেছেন তিনি। এবার ২০ শতাংশ জমিতে ঢেড়শ চাষ করেছেন। আবাদ ভালো হওয়ায় লাভের মুখ দেখা সম্ভব হবে বলে জানালেন। তিনি এ প্রতিবেদককে জানান, বিগতদিনে টমেটো, বর্ষালী ইরি, ফুলকপি, তিল, বাঁধাকপি সহ বিভিন্ন চাষাবাদে সাফল্য পেয়েছি। প্রতিনিয়তই নতুন কোন প্রজাতির চাষাবাদ ছাড়াও এতে কিভাবে অধিক ফলন পাওয়া সম্ভব তা নিয়ে চিন্তা করেন এ কৃষক। তবে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন অফিস থেকে সঠিক সময়ে পরামর্শ ও চাষাবাদ সম্পর্কিত প্রশ্নের সঠিক সমাধান ছাড়াও তথ্য উপাত্ত পেলে আরো ভালো হতো বলে মনে করেন তিনি। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন অফিসের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোবারক হোসেন জানান, একই জমিতে একই আবাদ না করে ভিন্ন আবাদ কিংবা সবজি চাষাবাদে কৃষকদের লাভবান হওয়া সম্ভব।