লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ লোকমান হোসেনসহ ৩জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বুধবার (১২ জুন) দুপুরে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সদর আমলী আদালতে হারুনুর রশিদ বাদী হয়ে এ মামলা করেন।
আদালত সূত্র জানায়, মামলাটি আমলে নিয়ে বিচারক মোহাম্মদ আবদুল কাদের ঘটনাটি নোয়াখালী পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। আগামি ২০ আগস্টের মধ্যে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য বলা হয়েছে। অন্য আসামিরা হলেন সদর থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) ইয়াকুব আলী ও লক্ষ্মীপুর পৌর হকার্স মার্কেটের ব্যবসায়ী আবদুল আজিজ।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ১ জুন ব্যবসায়ী আবদুল আজিজের অভিযোগের ভিত্তিতে সদর উপজেলার চরভূতা গ্রামের হারুনুর রশিদকে সদর থানায় মোবাইলফোনে কল করে ডেকে নেওয়া হয়। এ সময় হারুনকে এসআই ইয়াকুব হুমকি দেয় আজিজের ৩ লাখ টাকা পরিশোধ করার জন্য। ওই টাকা না দিলে হারুন ও তার ছেলেদেরকে ডাকাতিসহ বিভিন্ন মামলার আসামি করে হাজতে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। কিন্তু আজিজের সঙ্গে হারুনের কোন লেনদেন নেই। এমনি হারুন তাকে চিনেনও না। একপর্যায়ে ওসি লোকমান হোসেনের নির্দেশে তাকে (হারুন) থানা হাজতে রাখা হয়। ওই পুলিশ কর্মকর্তা (এসআই) এ সময় ছেলেকে শাহিন উদ্দিন ফোন করতে হারুনকে বাধ্য করিয়ে ১ লাখ টাকা ও ব্যাংকের চেক নিয়ে আসার জন্য বলে। পরে শাহিন কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা, জোরপূর্বক চেকে ও সাদাকাগজে স্বাক্ষর নেয় এসআই ইয়াকুব।
বাদীর আইনজীবী তছলিম আলম জানান, ওসিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলাটি আদালত আমলে নিয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আদালত পিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছে।
জানতে চাইলে লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ লোকমান হোসেন জানান, গত ২৯ মে হারুনদের বিরুদ্ধে ৩ লাখ টাকা পাওনার ঘটনায় আজিজ থানায় অভিযোগ করেছিলেন। পরে উভয়পক্ষ থানায় মিলিত হয়। এখানে কারো কাছ থেকে জোরপূর্বক টাকা আদায় ও বাধ্য করা হয়নি। মামলাটি উদ্দেশ্যমূলক বলেও দাবি করেন তিনি।