আমতলীর দক্ষিণ রাওঘা গ্রামে বুধবার সকালে চাচা মো: নজরুল ইসলাম মৃধার নেতৃত্বে ভাতিজা মামুন মৃধা নামক এক শিক্ষকের বসত ঘর ভাংচুর করে স্বর্ন নগদ টাকাসহ প্রায় ৩ লক্ষ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। এ সময় তাদের হামলায় গর্ভবতী নারীসহ ৩ জন আহত হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, আমতলী উপজেলার দক্ষিণ রাওঘা গ্রামের চাচা মো: নজরুল ইসলাম মৃধার সাথে তার ভতিজা মো: মামুন মৃধার সাথে ৪৪ শতাংশ জমি নিয়ে দীর্ঘ ৯ বছর ধরে দ্বন্দ চলে আসছে। দ্বন্দের রেশ ধরে এবং মামুন মৃধার দখলে থাকা ১৪ শতাংশ বসত বাড়ির জমি জোর পূর্বক দখলে নেয়ার জন্য বুধবার সকাল ১১-৩০ টায় চাচা মো: নজরুল ইসলাম মৃধার নেতৃত্বে প্রায় ২০-৩০ জন সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে হামলা করে। হামলা কারীরা ঘরের দরজা জানালা ভেঙ্গে তছনছ করে ফেলে। এ সময় তারা ঘরে থাকা নগদ টাকাসহ প্রায় ৩ লক্ষ টাকা মূল্যের আসবাবপত্র লুট করে নিয়ে যায়। তাদের হামলায় মামুনের বৃদ্ধা মা মালেকা বেগম, ছোট ভাই মহিবুল ও ভাইয়ের স্ত্রী ৫ মাসের গর্ভবতী মারিয়া বেগকেও মারধর করে। এতে মালেকা বেগমের পা ভেঙ্গে যায় এবং মারিয়া বেগমের পেটে আঘাত করলে সে মারাত্মকভাবে আহত হয়। তাৎক্ষনিক স্বজনরা তাদের উদ্ধার করে আমতলী হাসপাতালে ভর্তি করান। বর্তমানে মারিয়ার অবস্থা সংকট জনক। মামুন মৃধা অভিযোগ করে বলেন, আমার বাবা আবদুর রশিদ মৃধা মারা যাওয়ার পর চাচা নজরুল ইসলাম মৃধা আমাদের পৈত্রিক সম্পত্তি আমাদের বুঝিয়ে না দিয়ে জোর পূর্বক ভোগ দখল করে আসছে। এবছর মার্চ মাসে এক শালিস বৈঠকের মাধ্যমে বসত ঘরসহ ১৪ শতাংশ জমি আমাদেরকে বুঝিয়ে দেয়। চাচা মো: নজরুল ইসলাম এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমরা কোন ভাংচুর কিংবা কোন মালামাল লুট করিনাই।
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: আবুল বাশার জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। মামলা হলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।