নীলফামারীর সৈয়দপুরে এক নারী গণধর্ষণের ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে দিনাজপুর শহরের একটি ছাত্রাবাস থেকে আসাদুল ইসলাম আসাদ (২২) নামে আরও একজন ধর্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আসাদ দিনাজপুর আদর্শ কলেজের অনার্স শেষ বর্ষের ছাত্র এবং সৈয়দপুরের কয়া গোলাহাট এলাকার সরকারপাড়ার জোবায়দুল ইসলামের পুত্র। গত বুধবার রাতে সৈয়দপুর শহরের কয়া গোলাহাট বাইপাস মহাসড়কের পাশে ওই গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার দুপুরে ধর্ষিতা নিজে বাদী হয়ে সৈয়দপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ পেয়ে ওই সময়ে পুলিশ গণধর্ষণে জড়িত সৈয়দপুর পৌরসভার কয়া গোলাহাটের দক্ষিণ পাড়ার আকবর আলীর পুত্র আমজাদ হোসেন (২০) ও ডাঙ্গাপাড়ার ফজলুল হকের পুত্র আবদুল খালেককে (১৮) গ্রেফতার করে।
সূত্র মতে, ঢাকায় এক সিরামিক ফ্যাক্টরীতে কাজ করতো সৈয়দপুর উপজেলার দক্ষিণ সোনাখুলী মাল্লীপাড়া গ্রামের নুর ইসলামের মেয়ে। মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ধর্ষক আমজাদ হোসেনের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে ওই নারীর। ঘটনার দিন প্রেমিকাকে নিয়ে দিনাজপুরের বিভিন্ন পিকনিক স্পট ঘুরে সন্ধ্যায় সৈয়দপুরে আসে আমজাদ। তারপর পাতাকুঁড়ি বিনোদন পার্কের রাস্তায় লিচু বাগানের একটি পরিত্যক্ত ঘরে আসাদ ও খালেক নামে ওই দুই বন্ধু মিলে সারারাত পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
এ ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সৈয়দপুর সার্কেল) অশোক কুমার পাল জানান, আসামিরা প্রাথমিকভাবে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে। গত শুক্রবার তাদেরকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।