দেশের একমাত্র দিনাজপুরের পার্বতীপুর বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক ৫২৫মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১নং ইউনিট দীর্ঘ দুই বছর ৪১ দিন পর আজ বুধবার সকাল থেকে পুনরায় চালু হয়েছে। এখান থেকে উৎপাদিত বিদ্যুত জাতীয় গ্রিডে আগের ন্যায় যোগ হচ্ছে। বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদনের আগে এ ইউনিটে গত এক সপ্তাহ ধরে পরীক্ষামূলকভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছিল।
তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র সূত্রে জানা যায়, পার্বতীপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের তিনটি ইউনিটের মধ্যে ১২৫ মেগাওয়াটের প্রথম ইউনিটটি চালু হয় ২০০৬ সালের জুন মাসে। দীর্ঘ ১১ বছর পর চীনা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সিএমসি ও এক্সএমসি কনসোর্টিয়াম ২০১৭ সালের ৯ অক্টোবর এই ইউনিটে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ করে ভারী মেরামতের কাজ (মেজর ওভারহোলিং) শুরু করে। চুক্তি অনুযায়ী ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ৪২০ দিনের মধ্যে মেজর ওভারহোলিংয়ের কাজ সম্পন্ন করার কথা থাকলেও নির্দ্ধারিত সময়ের মধ্যে তার কাজ সম্পন্ন করতে পারেনি। অতিরিক্ত ২৪০ দিন সময় লাগে এই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের। এ ওভারহোলিংয়ে প্রায় ২শ’ কোটি টাকা ব্যায় হয়েছে বলে তাপবিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ সূত্রে বলা হয়েছে।
বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক ৫২৫ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক (সংরক্ষণ) প্রকৌশলী মোঃ মাহবুবুর রহমান বলেন, চীনা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান চুক্তি অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে মেজর ওভারহোলিংয়ের কাজ শেষ করতে পারেনি। বুধবার সকাল থেকে পরীক্ষামূলকভাবে ১২৫ মেগাওয়াটের প্রথম ইউনিটের উৎপাদিত বিদুৎ জাতীয় গ্রিডে যোগ হচ্ছে। এই ইউনিট উৎপাদনে যাওয়ায় উত্তরাঞ্চলে বিদুৎতের ঘাটতি পুরণ হবে ও লোডশেডিং অনেকাংশে কমে যাবে বলে তিনি উলে¬খ করেন।